পাহাড় থেকে আসা হিমেল বাতাসের কারণে দিল্লিতে এরকম ঠান্ডার মুখে পড়েছেন মানুষ। চারটি কেন্দ্র সফদরজং, আয়ানগর, রিজ এবং লোদি রোডে শৈত্যপ্রবাহ দেখা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ঠাণ্ডা ও কুয়াশা পুরোদমে ব্যাটিং করল। ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এদিন দিল্লির সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ছিল তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও পৌঁছেছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। এ কারণে গত ১০ বছরের মধ্যে ৫ জানুয়ারি ছিল শীতলতম দিন। ঠান্ডার পাশাপাশি কুয়াশাও বিপাকে পড়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় সাফদারজং ও পালামের দৃশ্যমানতা ছিল ৫০ মিটার। শুক্রবারও শৈত্যপ্রবাহের কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পাহাড় থেকে আসা হিমেল বাতাসের কারণে দিল্লিতে এরকম ঠান্ডার মুখে পড়েছেন মানুষ। চারটি কেন্দ্র সফদরজং, আয়ানগর, রিজ এবং লোদি রোডে শৈত্যপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। দিল্লির সফদরজং-এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি কম এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম রেকর্ড করা হয়েছিল।
৭ জানুয়ারির পর থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুরু হবে
আবহাওয়া দপ্তর মাত্র ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে। এরপর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮-২০ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭-৮ ডিগ্রিতে পৌঁছাবে।
এনসিআর-এর গুরগাঁও সবচেয়ে ঠান্ডা
এনসিআর-এ গুরুগ্রাম সবচেয়ে ঠান্ডা ছিল। এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 4.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস। গাজিয়াবাদে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৭, ফরিদাবাদে ৫.৯ এবং নয়ডায় ৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে বন্ধ ট্রেনের গতি
কুয়াশার সামনে আবারও রেলের সব প্রস্তুতি ব্যর্থ হচ্ছে। কুয়াশার কারণে এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি অনেকটাই ধীর হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ৬০টিরও বেশি ট্রেন বিলম্বিত হয়েছে। এই ট্রেনগুলির বেশিরভাগই দুই থেকে পাঁচ ঘন্টা দেরিতে চলে। গন্ডোয়ানা এবং চেন্নাই এক্সপ্রেস পাঁচ ঘন্টা লেটে চলে। ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস তিন ঘন্টা, মুম্বাই-নয়াদিল্লি ৪ ঘন্টা, বিশাখাপত্তনম-আনন্দ বিহার ৫ ঘন্টা, রাজেন্দ্র নগর-নয়াদিল্লি ৩ ঘন্টা, বারাউনি-নিউ দিল্লি ক্লোন এক্সপ্রেস ৩ ঘন্টা, দারভাঙ্গা-নয়াদিল্লি ২ ঘন্টা দেরি করে।
একইভাবে, সপ্তক্রান্তি, মহাবোধি, সত্যাগ্রহ, অযোধ্যা ক্যান্ট-দিল্লি, ইন্দোর-নিউ দিল্লি ইন্টারসিটি, ভুবনেশ্বর দুরন্তো, বেরেলি-নিউ দিল্লি ইন্টারসিটি, লখনউ-নিউ দিল্লি মেল এবং লখনউ-নিউ দিল্লি এক্সপ্রেস সহ অনেক ট্রেন তাদের গন্তব্য স্টেশনে ঘন্টা দেরিতে পৌঁছেছে।
ট্রেনের বিলম্বের কারণে অনেক ট্রেন পরিবর্তিত সময়ে চালানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রধানত মিরাট সিটি-লখনউ এক্সপ্রেস সকাল ৬.৪০ মিনিটের পরিবর্তে ১০.৪০ মিনিটে ছেড়েছিল। দিল্লি-কোটদ্বার এক্সপ্রেস সকাল ৭টার পরিবর্তে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে গেছে। ট্রেনের সময় বদলে যাওয়ায় স্টেশনে তাদের ট্রেন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যাত্রীরা। একই সঙ্গে দিল্লি পৌঁছানোর ট্রেন দেরিতে আসায় যাত্রীদেরও দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়েছে।