আইএনএক্স মামলায় মূল অভিযোগ কী, চিদম্বরম কীভাবে জড়িয়ে এই মামলায় - জেনে নিন সবকিছু

  • আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় বুধবার গ্রেফতার হয়েছেন পি চিদম্বরম
  • ২০০৭ সালে এই ঘটনার শুরু হয়েছিল
  • বেআইনি ভাবে বিদেশী লগ্নির পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে
  • বদলে পুত্র কার্তিকে আইএনএক্স অর্থ দিয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে

amartya lahiri | Published : Aug 22, 2019 9:32 AM IST / Updated: Aug 22 2019, 03:19 PM IST

আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় বুধবার রাতে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তার আগে নয়াদিল্লিতে জাতীয় কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। সেখানে তিনি হদাবি করেন, এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই। তাঁর পুত্র বা পরিবারের আর কেউই অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নন। কিন্তু সত্যিই কী তাই? ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে এই মামলায়? প্রাক্তন  অর্থমন্ত্রী ও তাঁরক পুত্রই বা কীভাবে এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

আইএনএক্স মিডিয়া সংস্থা চালাতেন প্রখ্যাত দুই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব পিটার ও ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়। ২০০৭ সালের মার্চ মাসে তাঁদের সংস্থা শুধু এফডিআই হিসেবেই ৩০৫ কোটি টাকার বিদেশী লগ্নি পেয়েছিল। সেই সঙ্গে ছিল মোটা অঙ্কের ডাউনস্ট্রিম পেমেন্টও। অথচ ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ড বা এফআইপিবি, যারা কোনো ভারতীয় সংস্থায় বিদেশী লগ্নির বিষয়টি অনুমোদন করে, তারা এই বিপুল পরিমাণ বিদেশী লগ্নির অমুমোদন আইএনএক্সকে দেয়নি বলে অভিযোগ। এফডিআই মঞ্জুর করা হয়েছিল ৪.৬২ কোটি টাকার, আর আইএনএক্স-এর ডাউনস্ট্রিম ইনভ্স্টমেন্টের আবেদন এফআইপিবির অনুমোদন পায়নি। অর্থাৎ স্পষ্টতই তারা আইন ভেঙেছিল।

এক অভিযোগের ভিত্তিতে এই নিয়ে তদন্ত শুরু করে কর বিভাগ। তারা এফআইপিবিকে এই বিষয়ে আইএনএক্স-এর ব্যাখ্যা চাওয়ার নির্দেশ দেয়। আর এইখানেই কার্তি ও পি চিদম্বরম এই মামলায় প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ। পুলিশকে দেওয়া ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের বয়ান অনুযায়ী, ২০০৮ সালে তখনকার অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অভিযোগ পি চিদম্বরম তাঁদেরকে পুত্র কার্তির ব্যবসায় সাহায্যের অনুরোধ করেছিলেন। এর পরিবর্তে বিনিময়ে অবৈধ বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এফআইপিবি-র অনুমোদনের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।

এরপরই তাঁরা কার্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ইন্দ্রানী। আয়কর বিভাগের বিষয়টি মেটানোর জন্য তাঁরা কার্তি চিদম্বরমকে নিয়োগ করেন। সিবিআই-এর অভিযোগ আইএনএক্স মিডিয়া ও কার্তির মধ্যে অপরাধমূলক ষড়ষন্ত্র হয়। তখনও পর্যন্ত যা বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে, তা উল্লেখ করে নতুন করে এফআইপিবির কাছে আবেদন করার পরামর্শ দেন কার্তি। বাবা পি চিদম্বরমের অর্থমন্ত্রী থাকাকে কাজে লাগিয়ে সেই আবেদন অনুমোদনও পেয়েছিল।

এর জন্য প্রথমে কার্তির সংস্থা অ্যাডভান্টেজ স্ট্র্যাটেজিক কনসাল্টিং-কে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল আইএনএক্স। পরে কার্তি আরও ১০ লক্ষ ডলার দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়, যা কার্তির বিভিন্ন সংস্থায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইডির দাবি অনুযায়ী এই টাকা ব্যবহার করে কার্তি স্পেনে একটি টেনিস ক্লাব-সহ ইউরোপ ও ভারতে বেশ কিছু স্থাবর সম্পত্তি আদায় করেছেন।

Share this article
click me!