সূত্র জানচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ববর্তী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স সরকারের ১০ বছরের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার বিষয়ে একটি 'শ্বেতপত্র' আনতে চলেছে। এ কারণে বাজেট অধিবেশন একদিন বাড়ানো হয়েছে।
সংসদের বাজেট অধিবেশন একদিন বাড়ানো হয়েছে। বাজেট অধিবেশন ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল এবং ৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে এখন এটি ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এ তথ্য জানিয়েছেন। সূত্র জানচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ববর্তী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স সরকারের ১০ বছরের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার বিষয়ে একটি 'শ্বেতপত্র' আনতে চলেছে। এ কারণে বাজেট অধিবেশন একদিন বাড়ানো হয়েছে। এই 'শ্বেতপত্র'-এর মাধ্যমে মোদী সরকার তার এবং ইউপিএ সরকারের আমলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার তুলনামূলক সমীক্ষা উপস্থাপন করতে পারে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও তার অন্তর্বর্তী বাজেট বক্তৃতায় এই বিষয়ে একটি ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে সরকার একটি শ্বেতপত্র পেশ করবে, যা ইউপিএ দশক এবং এনডিএ দশককে কভার করবে। ইউপিএ জমানার আর্থিক অব্যবস্থাপনা এবং এনডিএ শাসনের আর্থিক বিচক্ষণতা দেখানোর জন্য একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হবে।
বাজেট বক্তৃতায় ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন
অর্থমন্ত্রী গত ১ ফেব্রুয়ারি তার ভাষণে বলেছিলেন, 'সেই বছরের সঙ্কট কেটে গেছে, আমরা অর্থনীতিকে ফিরিয়ে এনেছি। সেই বছরের অব্যবস্থাপনা থেকে শিক্ষা নিতে হলে ২০১৪ সাল নাগাদ আমরা কোথায় ছিলাম এবং এখন কোথায় আছি তা দেখা উচিত। এ জন্য সরকার সংসদে শ্বেতপত্র পেশ করবে। আগামী এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলা লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত দেশ। এই পরিস্থিতিতে, 'শ্বেতপত্র' ক্ষমতাসীন বিজেপিকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করার সুযোগও দেবে। সংসদ সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করে না, তবে অতীতে এমন উদাহরণ রয়েছে যখন শনিবারে হাউস বসেছে। এবারও তাই হতে চলেছে।
শ্বেত পত্র কী?
শ্বেতপত্র ১০২ বছর আগে ১৯২২ সালে ব্রিটেনে শুরু হয়েছিল। এটি একটি বিষয় বা সমীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে যা জানা যায় তার একটি সারাংশ। একটি শ্বেতপত্র যেকোন বিষয়ে হতে পারে, তবে এটি সবসময় কাজ করার উপায় উন্নত করার পরামর্শ দেয়। এটি সাধারণত ফলো-আপ অ্যাকশনের জন্য সরকারের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। একটি শ্বেতপত্র হল একটি সরকার, কোম্পানি, বা অলাভজনক সংস্থার জারি করা একটি তথ্যমূলক নথি যা একটি সমাধান, পণ্য বা পরিষেবার বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রচার বা হাইলাইট করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
কে শ্বেত পত্র জারি করতে পারেন?
সরকার ছাড়াও যে কোনো প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, সংস্থা শ্বেতপত্র জারি করতে পারে। যেখানে এটি তার গ্রাহক, কর্মচারী বা জনসাধারণকে তার পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে পারে। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রবর্তিত প্রযুক্তির প্রচারের জন্য শ্বেতপত্রও প্রকাশ করে যাতে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।