'গোধরা হত্যাকাণ্ডের দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টা করা হবে', সুপ্রিম কোর্টে বিবৃতি গুজরাট সরকারের

Published : Feb 20, 2023, 03:33 PM IST
Godhra Train1

সংক্ষিপ্ত

গুজরাট সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে হাজির হয়ে বেঞ্চকে বলেছিলেন যে আমরা অপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করার জন্য আন্তরিকভাব চেষ্টা করব।

গুজরাট সরকার সোমবার সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে যে তারা ১১ জন গোধরা হত্যাকাণ্ডের দোষীদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার চেষ্টা করবে। জেনে রাখা ভালো যে ট্রায়াল কোর্ট গোধরা হত্যাকাণ্ডের দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল, কিন্তু গুজরাট হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করেছিল। গোধরা কাণ্ডে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের জামিন আবেদনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ অভিযুক্তদের জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য তিন সপ্তাহ পর সময় দিয়েছেন। আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীদের এই সময়ের মধ্যে আসামিদের সংশোধনাগারে কাটানো সময় এবং তাদের সাজা দেওয়ার তথ্য দিয়ে একটি চার্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

গুজরাট সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে হাজির হয়ে বেঞ্চকে বলেছিলেন যে আমরা অপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করার জন্য আন্তরিকভাব চেষ্টা করব। বিরলতম এই ঘটনায় মহিলা ও শিশুসহ ৫৯ জনকে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়। ট্রেনের বগি বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যার জেরে মৃত্যু হয় ৫৯ জনের।

গোধরা হত্যাকাণ্ডে, ট্রায়াল কোর্ট ১১ দোষীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। যেখান থেকে ১১ আসামির মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তর করে হাইকোর্ট। গুজরাট সরকার দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গোধরা ট্রেন অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দোষীদের বড়সড় স্বস্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারুকের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। আসামি ১৭ বছরের জন্য কারাগারে রয়েছে। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ফারুকের জামিন মঞ্জুর করার সময়, আদালত বলে যে সে ইতিমধ্যে ১৭ বছর কারাদন্ড ভোগ করেছে।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার একটি বেঞ্চ দোষী সাব্যস্তদের একজন ফারুকের পক্ষে উপস্থিত হওয়া আইনজীবীর পিটিশন নিয়ে আলোচনা করেন। ফারুকের আইনজীবী বলেন, এখন পর্যন্ত সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জামিন দিতে হবে।

২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০২-এ, সবরমতী এক্সপ্রেসের বগি এস-৬ গোধরায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। আগুনে পুড়ে মারা যায় ৫৯ জন। এই ঘটনার পর গুজরাটে দাঙ্গা শুরু হয়। সেই দাঙ্গার বলি হয়েছিলেন ১০০০ জনেরও বেশি। এদিকে গোধরায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০১১ সালে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ জনকে জাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল।এদিকে গোধরায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০১১ সালে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল।

PREV
click me!

Recommended Stories

কবে ঠিক হবে IndiGoর বিমান পরিষেবা? একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি
মহিলা আর প্রবীণ রেলযাত্রীদের জন্য বরাদ্দ লোয়ার বার্থ, সুখবর দিলেন রেলমন্ত্রী