
ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের পশ্চিম প্রান্ত (Western Afghanistan)। স্থানীয় সময় অনুসারে সোমবার পশ্চিম আফগানিস্তানের বাদঘিস প্রদেশে (Badghis Province) ভয়াবহ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৩। এই ঘটনায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকেই জখম হয়েছেন বলে স্থানীয় আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। ফলে মৃতের (Death) ও আহতের সংখ্যা আরও বড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের জেরে বাদঘিসের কাদিস শহরে ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ির ছাদ। আর সেই স্তূপের নিচে চাপা পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। সেই স্তূপের নিচে আরও অনেকেরই চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। আহতদের মধ্যে শিশু ও মহিলাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৪.২
২০ বছর পর তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর এমনিতেই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন আফগানবাসী। কারণ, পশ্চিমী দেশগুলি আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে এবং বিদেশে থাকা সম্পদও আটকে দিয়েছে। ফলে সেই দেশের মধ্যের দেখা দিয়েছে সঙ্কট। আর্থিক সঙ্কটের পাশাপাশি খাদ্যের সঙ্কটও দেখা দিয়েছে সেখানে। ফলে অপুষ্টির শিকার হচ্ছে শিশুরা। এই পরিস্থিতিতে ওই দেশের সাহায্যের জন্য তহবিল তৈরি করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সেই তহবিলে অনুদান দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সব দেশকে। আর তার মধ্যেই আবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় সেখানে সাধারণ মানুষের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর দুটি টেকটোনিক প্লেট হঠাৎ করে একে অপরের উপর দিয়ে পিছলে গেলেই ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। তারা যে পৃষ্ঠে বরাবর পিছলে যায় তাঁকে বলে ফল্ট বা চ্যুতি। ছোট ছোট ভূমিকম্পগুলি কোনও বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হয়। তবে, বড়মাপের ভূমিকম্পটি না হওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়, ছোট মাপের ভূমিকম্পটি কোনও প্রধান ভূমিকম্প ছিল, না বড় ভূমিকম্পের আগমনবার্তা। তাই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন- কেমন যাবে ২০২২, পঙ্গপাল হানা, সুনামি, নতুন ভাইরাসের ভবিষ্যৎবাণী বাবা ভাঙ্গার
এর আগে ২০১৫ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল আফগানিস্তানে। মৃত্যু হয়েছিল ২৮০ জনের। পার্বত্য এলাকায় ছিল রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। সেই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছিল দক্ষিণ এশিয়াতেও। এমনকী, এর জেরে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেও অনেকের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া মাত্র কয়েকদিন আগে শুক্রবারও আফগানিস্তানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। ফৈজাবাদে গত শুক্রবার রাতে ভূমিকম্প হয়েছিল। তবে সেই কম্পনে কাও প্রাণ হানি বা সম্পত্তিহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। রিখটার স্কেলে কম্পের মাত্রা ছিল ৫.৩। তারপর ফের সোমবার কম্পন অনুভূত হল সেখানে।