২০৩০ সালের মধ্যে কি ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী? বছরে ৫৬০টি প্রকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসতে চলেছে

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালে তাপপ্রবাহের পরিমাণও অনেকটা বেড়ে যাবে। ২০০১ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে তাপপ্রবাহ।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে হাড়হিম করা একটি রিপোর্ট পেশ করেছে রাষ্ট্র সংঘ। যেখানে দায়ি করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনকেই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান পরিণতির কারণে বিপর্যকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যারমধ্যে অনেকগুলি বিধ্বংসী হবে। জীবন বা জীবিকাকেও প্রভাবিত করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নতুন এই প্রতিবেদনে প্রাকৃতিক পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর একটি রূপ প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে পৃথিবীতে আরও বেশি করে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বর্তমান প্রবণতা যদি নিয়ন্ত্রণ না হয় তাহলে ২০৩০ সাল নাগাদ গোটা বিশ্বে বছরে প্রায় ৫৬০টি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটবে। ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রতিবছর প্রায় ৪০০টি করে প্রাকৃতিক বিপর্যের ঘটনা ঘটে গোটা বিশ্বে। যার মধ্যে রয়েছে বন্যা, খরা, দাবানল, ভূমিকম্প। মহামারি ও রাসায়নিক দুর্ঘটনার মতও ঘটনা ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। 

Latest Videos

জলবায়ু পরিবর্তন জলবায়ু সম্পর্কিত বিপদের মাত্র, ফ্রিকোয়েন্সি, সময়কাল আর তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও উন্নয়ন অর্জনের বিপর্যয়ের একটি প্রধান চালক হয়ে উঠেছে। বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১৯৭০-২০০০ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯০-১০০টির মত প্রাকৃতিক বিপর্যের ঘটনায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালে তাপপ্রবাহের পরিমাণও অনেকটা বেড়ে যাবে। ২০০১ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে তাপপ্রবাহ। রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কোভিড-১৯ , আর্থিক মন্দ ও খাদ্য ঘাটতিকেও প্রভাবিত করতে পারে। 


রিপোর্টে বলা হয়েছে জয়বায়ু পরিবর্তন রুখে দেওয়ার চেষ্টা বা উপায় শুধুমাত্র মানুষের হাতেই রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দুর্যোগের প্রভাবও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্র সংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস অফিসার প্রধান মামি মিজুতোরি বলছেন এখনও মানুষ সতর্ক হচ্ছে না। যা বিপর্যয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দুর্যোগের কারণএ বর্তমানে প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থই ত্রাণ হিসেবে খরচ করা হচ্ছে। ৬ শতাংশ অর্থ ব্যায় করা হয়েছে পুনর্গঠনের জন্য আর মাত্র ৪ শতাংশ অর্থ খরচ করা হচ্ছে প্রতিরোধের জন্য। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিশ্বের দেশগুলি প্রায় প্রতিবছরই ১ শতাংশ করে জিডিপি কমে যায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল সবথেকে বেশিক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

টুইটারের সিইও-র পদ থেকে ছাঁটাই হচ্ছেন পরাগ আরওয়াল? কাজ হারালে পাবেন কোটি কোটি টাকা

উঃ কি গরম! তাপপ্রবাহের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি, নেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, সিবিআই-এর জালে মূল অভিযুক্তের বাবা তথা তৃণমূল নেতা

Share this article
click me!

Latest Videos

‘Bangladesh-কে মারতে হবে না চোখ দেখালেই যথেষ্ঠ’ বাংলাদেশকে ধুয়ে দিলেন Dilip Ghosh | Bangladesh News
Suvendu Adhikari Live: এগরায় জনসভা শুভেন্দুর, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
PM Modi Live : কুয়েতে Gulf Spic-এর ভারতীয় কর্মীদের সঙ্গে আড্ডা মোদীর, দেখুন সরাসরি
প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
‘Mamata Banerjee আজ TMC-র মুখ্যমন্ত্রী আছেন কাল জামাতের মুখ্যমন্ত্রী হবেন’ বিস্ফোরক Sukanta Majumdar