আখুন্দজাদা আরও বলেছেন , যেসব মহিলারা খুব বেশি বয়স্ক বা অল্পবয়সী নন বা নাবালিকা নন, তারা পুরুষদের সঙ্গে দেখা করার জন্য শরিয়া নির্দেশ অনুসারে শুধুমাত্র চোখ খুলে রাখতে পারেন।
তালিবান শাসনে এবার আফগান মহিলাদের ওপর নেমে এল পুরোপুরি অন্ধকার। শাসন ক্ষমতা দখলের আগে নারী স্বাধীনতা নিয়ে অনেক কথা বললেন এবার তালিবানরা আফগান মহিলাদের প্রকাশ্যে বোরখা পরার নির্দেশ দিয়েছে। বলেছেন শুধু মুখ নয় গোটা শরীর মুড়ে রাখতে হবে বোরখা দিয়ে।
১৯৯৬ সাল ও ২০০১ সালে তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিল। তারপর তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়। ২০২১ সালে আবারও কাবুল দখল করে নেয় তালিবানরা। তালিবানদের এই আগ্রাসন মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তাতে কোনও গুরুত্ব না দিয়ে আফগানিস্তানের রাজপাট নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া ছিল তালিবানরা। কাবুলের মসনদে জাঁকিয়ে বসার পরই আফগান মহিলাদের প্রকাশ্যে বার হতে গেলে বোরখা পরতে হবে এমন ফতোয়াও জারি করে তালিবানরা।
এর আগেই তালিবানরা মহিলাদের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে সরকারি চাকরি, মাধ্যমিক শিক্ষা, আর মহিলাদের একা যত্রতত্র ভ্রমণ। মহিলাদের বাড়ির বাইরে যেতে হলে অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে একজন পুরুষকে। এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতেই সর্বশেষ সংযোজন বোরখা। তালিবান প্রধান হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা মহিলাদের কঠোর পোশাক কোড ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন বাড়ির বাইরে বার হওয়ার জন্য মহিলাদের বোরখা পরতেই হবে। তিনি আরও বলেছেনে চাদোরি দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে। কাবুলের একটি অনুষ্ঠানে তালিবান প্রধান এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আখুন্দজাদা আরও বলেছেন , যেসব মহিলারা খুব বেশি বয়স্ক বা অল্পবয়সী নন বা নাবালিকা নন, তারা পুরুষদের সঙ্গে দেখা করার জন্য শরিয়া নির্দেশ অনুসারে শুধুমাত্র চোখ খুলে রাখতে পারেন। তাদের মুখের বাকি অংশ ঢেকে রাখতে হবে। তালিবান প্রধানের এই নির্দেশ নিয়ে নতুন করে সমালোচনা ঝড় উঠতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে আগের তালিবান শাসনে মহিলাদের জন্য বোরখা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এবার তালিবান সুপ্রিমো বলে দিয়েছেন মহিলাদের যদি কোনও প্রয়োজনীয় কাজ না থাকে তাহলে তাদের বাড়িতে থাকাই ভালো। অর্থাৎ বাড়ির বাইরে না যেতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এর আগেই তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর মহিলাদের জন্য বেশ কয়েকটি ফতোয়া জারি করেছিল। কিন্তু সবই ছিল মৌখিক। এবার তালিবান সুপ্রিমো আখুন্দাজা আফগান মহিলাদের জন্য লিখিত নির্দেশনামা জারি করেছেন। এটিকে আফগান প্রশাসন জাতীয় আদেশনামা বলেও চিহ্নিত করেছে। নির্দেশনামায় নারী ও পুরুষদের বিভাজন স্পষ্ট করা হয়েছে।