ভয় ধরানো পরিবর্তন, কলকাতার থেকেও তাপমাত্রা বেশি এখন শীতলতম মহাদেশে

Published : Feb 10, 2020, 11:19 PM ISTUpdated : Feb 10, 2020, 11:25 PM IST
ভয় ধরানো পরিবর্তন, কলকাতার থেকেও তাপমাত্রা বেশি এখন শীতলতম মহাদেশে

সংক্ষিপ্ত

শীতলতম মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। সেখান থেকেই এল ভয় ধরানো তথ্য। গত বৃহস্পতিবার সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর্জেন্টিনার গবেষকদের দাবি সেখানকার তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  

ভয় ধরানো তথ্য এল অ্যান্টার্কটিকা থেকে। যাকে শীতলতম মহাদেশ হিসেবে জানে গোটা পৃথিবী। গত বৃহস্পতিবার ওই শীতলতম মহাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। আর্জেন্টিনার গবেষণা কেন্দ্র এস্পেরাঞ্জা-র তাপমাত্রার পাঠ বলছে গত বৃহস্পতিবার সেখানকার তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অর্থাৎ শীতকালে কলকাতার যা তারপমাত্রা থাকে তার থেকেও বেশি। এর আগে অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। সেই সময় তাপমাত্রা ছিল ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অর্থাৎ নতুন তাপমাত্রা একলাফে ০.৮ ডিগ্রি বেড়েছে।

বিশ্ব পরিবেশ সংস্থা বা ডব্লিউএমও-র মুখপাত্র ক্লেয়ার নুলিস বলেছেন,  এটা এমনকী অ্যান্টার্কটিকার গ্রীষ্মকালেরও স্বাভাবিক ছবি নয়। ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা-ও এই অঞ্চলের জন্য এবং অত্যন্ত উষ্ণ বলে ধরা হয়। ক্লেয়ার বলেছেন, যেভাবে চলথছে তাতে এবার অ্যান্টার্কটিকায় সুতির জামাকাপড় পরে ঘুরে বেড়ানোর কথা কল্পনা করতে হবে।

এই তাপমাত্রাটি রেকর্ড করা হয়েছে অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপে। এই এলাকাটি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এই মুহূর্তে এই এলাকার তাপমাত্রাই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ছে। তীব্র গতিতে গলে যাচ্ছে এখানকার বরফ। বিজ্ঞানীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে দক্ষিণ মেরুতে এত দ্রুত হারে বরফ গলছে যে দ্রুতই এখানকার জমাট বরফ পুরোটাই গলে যাবে - এবং কয়েক শতাব্দীর মধ্যেই বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের জলস্তর কমপক্ষে তিন মিটার বা ১০ ফুট বৃদ্ধি পাবে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দ্রুত কোনও পদক্ষেপ না নিলে এখনকার পরিচিত বেশ কিছু  শহরের জলাঞ্জলী ঘটবে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা থেকে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি পেশার, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ২০ জন