
বাংলাদেশ অস্থির। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে। কিন্তু বাংলাদেশে মোটেও সুখে নেই সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়। এই অবস্থায় প্রকাশ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট। বলা হয়েছে বাংলাদেশে গত চার বছরে মাদকসেবনকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৪০ লক্ষ। বর্তমানে বাংলাদেশে মাদকসেবনকারীর সংখ্যা ১ কোটির বেশি। যর প্রায় ৩০ শতাংশই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সম্প্রতি আন্দোলনে প্রথম সারিতেই ছিল দেশের ছাত্র ও যুবরা। কিন্তু সেই সময় আন্দোলনের নামে অনেক ছাত্রই প্রকাশ্যে মাদক সেবন করেছে। বর্তমান বাংলাদেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বরেই স্বল্পমূল্য পাওযা যাচ্ছে মাদক দ্রব্য। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী মদহম্মদ ইউনুসের আমলে লাটে উঠেছে সেই দেশের আইনশৃঙ্খলা। আর সেই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় ছোট-বড় মাদক ব্যবসায়ীরা। বলা যেতে পারে বাংলাদেশের মাদকব্যবসায়ীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কৌশলে বিক্রি করছে কোকেন, গাঁজা, মদ, মারিজুয়ানা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, হিরোইন, প্যাথিডিন সিসা, এলএসডির মত মাদক।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্রীদের মাঝেও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে মাদক সেবন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুলিশি নজরদারি নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এই বিষয়ে নীরব। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কথায় । বড় ক্যাম্পাসগুলোতে বহিরাগতরা সন্ধ্যা হলেই মাদকের আসর বসায়। একই অভিযোগ পড়ুয়াদেরও। রাজধানীসহ সারা দেশের শহরগুলোর অলি-গলি, স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের মাদক। শিক্ষার্থীরা এক সময় রাখঢাক করে খেলেও এখন অনেকটা প্রকাশ্যে। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এই পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
বাংলাদেশের মাদকের এই রমরমা কারবারের কারণে বহু পরিবারে অশান্তি বাড়ছে। অভিভাবকরা অতিষ্ট হয়ে নিজেই নিজের সন্তানদের পুলিশে ধরিয়ে দিতে চাইছেন। অনেক ক্ষেত্রে মাদকের পয়সা না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগও উঠছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।