গত কয়েকদিন থেকে অস্ত্র কিনে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট সার্ভিস চালু এবং বাণিজ্য শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকেও প্রশিক্ষণের জন্য ডাকা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার বিদায়ের পর মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই নতুন সরকার আসার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে টানাপোড়েনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত ভারতবিরোধী বক্তব্য আসছে। নতুন সরকারের ঝোঁক পাকিস্তানের দিকেই বলে মনে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক সময় বাংলাদেশিদের ওপর নৃশংসতা চালানো পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সেখানে আবার ঢুকে পড়ছে। ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ডাকা হচ্ছে। প্রশিক্ষণের জন্য পাক আর্মির বাংলাদেশ প্রবেশে বেশ চিন্তায় ভারত।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে
গত কয়েকদিন থেকে অস্ত্র কিনে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট সার্ভিস চালু এবং বাণিজ্য শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকেও প্রশিক্ষণের জন্য ডাকা হচ্ছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও মহম্মদ ইউনুস কায়রোতে বৈঠক করেন। তারা দুজনই ডি-৪ সম্মেলনে অংশ নিতে সেখানে গিয়েছিলেন। বলা হচ্ছে, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে গোপন চুক্তি হয়েছে।
পাকিস্তানি সেনা ও আইএসআইয়ের প্রবেশ
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং আইএসআই উভয়ই বাংলাদেশে আসতে চলেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। ১৯৭১ সালের ৫৩ বছর পর পাকবাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। একই বছর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ!
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের একত্র হওয়া ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পাকিস্তান ও চিনের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক বজায় রাখছে। বঙ্গোপসাগরে পাকিস্তান ও চিনের উপস্থিতি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জিং প্রমাণিত হতে পারে। এই দুই দেশই সেখান থেকে ভারতকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করতে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।