বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশে ২.৩১ লক্ষ ডিম রপ্তানি করেছে ভারত। বাংলাদেশে ডিমের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় এই বিশাল রপ্তানি। ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য অংশে ডিমের দাম এক ডজন প্রতি ২০০ টাকা অর্থাৎ ১৪০.৭৫ টাকায় পৌঁছেছে। দাম বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দাম স্থিতিশীল করতে ৪.৫ কোটি ডিম ধাপে ধাপে আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। নভেম্বরের মধ্যে ভারত থেকে আরও ৯০ লক্ষ ডিম বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে।
এছাড়াও, ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ডিম আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। এর ফলে ডিমের আমদানি খরচ এক ডজন প্রতি ১৩.৮ টাকা কমবে। প্রোটিনের উৎস ডিম, দেশের সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখা হবে বলে এনবিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে ডিমের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো কোഴি খাদ্যের দাম বৃদ্ধি। ডিম উৎপাদন খরচের ৭৫ শতাংশই কোഴি খাদ্যের জন্য ব্যয় হয়, বাংলাদেশে খাদ্যের দাম ভারতের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়াও, কৃষকরা ডিম উৎপাদনের জন্য যে একদিনের বাচ্চা কিনে থাকেন, তার দাম ভারতে অনেক বেশি। ভারতে, একটি বাচ্চার দাম ২৫-৩৫ টাকা। বাংলাদেশে ভারতের তুলনায় তিনগুণ বেশি দাম। ৮০-১২০ টাকা পর্যন্ত বাচ্চার দাম।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।