চিনাদের জীবন নিয়ে খেলছে বেজিং, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রতিষেধক প্রয়োগ

জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রতিষেধক প্রয়োগ
সাধারণ নাগরিকগের ওপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করছে চিন 
জরুরি ব্যবহারের প্রোটোকলের আওতায় চলছে পরীক্ষা 
প্রতিষধক নিয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করেনি বেজিং 
 

জুলাই মাসের শেষ দিক থেকে নিঃশব্দ করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক প্রদান করছে চিন। আর তা নিয়ে দীর্ঘ দিন টু-শব্দটি করেনি বেজিং। গত শনিবারই বিষয়টি নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন বেজিং-এর স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন জুলাই মাসের শেষ দিক থেকে পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হচ্ছে। মূলত চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও সরকারি কর্মীদেরও প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। চিনা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা আরও দাবি করেছেন যে, যাদের সংক্রমণে ঝুঁকি রয়েছে তাদের প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। 

চিন যদি জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে করোনার প্রতিষেধক জনসাধারণের জন্য চালু করে তাহলে বিশ্বে প্রথম ভ্যাকসিন তৈরির কৃতিত্ব তারাই দাবি করতে পাবে। কারণ  রাশিয়ার থেকে তিন সপ্তাহ আগেই চিন সাধারণ মানুষকে প্রতিষেধক প্রদান করছে। তবে চিনা প্রতিষেধকটি এখনও ক্লিনিয়ান ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হয়নি। তাই বেজিং-এর স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন 'জরুরি ব্যবহারের প্রোটোকল'-এর আওতায়  প্রতিষেধক প্রদান করা হচ্ছে। 

Latest Videos


যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করে আসছে  যেকোনও প্রতিষেধক তৈরিতে নুন্যতম একবছর সময় লাগে। আর প্রতিষেধকের সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে প্রচুর মানুষের ওপর তা প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন উভয় দেশই ২০১২ সালের গোড়ার দিকে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।  কিন্তু সেখানে সম্পূর্ণ অন্যপথে হেঁটেছে চিন আর রাশিয়া। নাগরিকদের কাছে দেশপ্রেমের জিগির তুলে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। 

শনিবার চিনের রাষ্ট্রীয় টিভিতে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বিকাশের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ঝে ঝাংওয়ে বলেন ২২ জুলাই থেকেই স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে সিনোফার্মার তৈরি প্রতিষেধক জরুরি ব্যবহারের প্রোটোকলের আওতায় ফেলে প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন সেনা বাহিনীর পরীক্ষামূলক ব্যবহারে প্রায় এক মাস পরেই সাধারণ নাগরিকদের ওপর তা প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শরৎকাল ও শীতকালে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তাই একটি মধ্যপন্থা অবলম্বন করে বিশেষ কিছু মানুষের মধ্যেই তা প্রয়োগ করা হচ্ছে। যার মূল উদ্দেশ্যই হল একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা। 

একটি সূত্র বলছে চিন নিঃশব্দে করোনা প্রতিষেধক সাধারণের মধ্যে প্রয়োগ করছে। প্রায় এক মাস পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে। যার মূল উদ্দেশ্যই হল যদি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া সহজ হবে। চিনা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তারা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও খবর পাননি। তবে কতজনের ওপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বেজিং।   

Share this article
click me!

Latest Videos

খেলতে খেলতেই ঘটলো অঘটন! শোকের ছায়া Shantipur-এ, দেখুন | Nadia News Today
ভোটে জিততেই RG Kar সাজানো ঘটনা বলছেন তৃণমূল, একহাত নিলেন Adhir Ranjan Chowdhury
PM Modi Live : প্রধানমন্ত্রী মোদীর বড় ঘোষণা! সরাসরি দেখুন
'উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে BJP ভাবেনা' আর কি বললেন শুভেন্দু? দেখুন | Suvendu Adhikari
ছয় Bidhan Sabha কেন্দ্রের ছটিতেই এগিয়ে TMC, আবির খেলায় মাতলেন গঙ্গাসাগরের তৃণমূল কর্মীসমর্থকরা