শুধু ভারত নয়, নেপালের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে বাবাদে জড়িয়ে পড়েছে চিন। লাধাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন যেমন একের পর এক পরিকাঠামো তৈরি করেছে তেমনই ঘটনা ঘটেছে নেপালেও। নেপালের সীমান্তবর্তী জেলা হুমলায় প্রায় ১১টি পরিকাঠামো তৈরি করেছে বেজিং।
হুমলা জেলাকে দীর্ঘ দিন ধরেই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে নেপাল। আগে বিরোধ মেটাতে দুই দেশই একাধিকবার বৈঠক করেছিল। আর সীমান্ত বিরোধ এড়াতে একটি সীমান্তে একটি স্তম্ভ তৈরি করে রেখেছিল নেপাল। সেই স্তম্ভটি দুই দেশের সীমানা নির্দেশ করত। তারপর থেকে কিছুটা হলেও শান্ত ছিল দুই দেশের সীমান্ত বিরোধ। কিন্তু কয়েক বছর আগে এই এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণ করে নেপাল। আর সেই সময়ই সেই স্তম্ভটি হারিয়ে যায়। তারপরই আসরে নামে বেজিং। হুমলা জেলার বেশ কিছুটা অংশ নিজেদের বলে দাবি করে। আর ওই এলাকায় একের পর এক পরিকাঠামো তৈরি করে। ইতিমধ্য়েই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নেপালের বিদেশ মন্ত্রক।
উভয় দেশই বিতর্কিত এলাকা নিয়ে আলোচনায় বসেছে। তবে সেই বৈঠকেও চিন সংশ্লিষ্ট এলাকাটিকে নিজেদের বলে দাবি করেছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আর কোনও আলোচনা হবে না বলেও জানিয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে ২০১৫ সাল থেকেই সীমানা নির্দেশকারী স্তম্ভটি হারিয়ে গিয়েছিল। তারপর চিন ও নেপাল দুই দেশই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিল। কিন্তু তারপর কোনও দেশই কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উত্তর নেপালের একটি জেলা হুমলা। নেপালের অভিযোগ এই জেলাতেই চলছে চিনের অবৈধ অধিগ্রহণ। এই ঘটনার প্রতিবাদে নেপালে চিনের দূতাবাসের সামনে সম্প্রতি বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে উঠেছে গো ব্যাক চায়না স্লোগান।
পাল্টা মুখ খুলেছে বেজিংও। দূতাবাসের মুখপাত্র ঝাং ইজ বলেছেন, যেখানে নির্মাণ কাজ হয়েছে সেটি চিন সীমান্তের মধ্যে পড়ে। নেপাল পুরো বিষয়টি সরেজমিনে পরীক্ষা করে দেখতে পারে। পাশাপাশি বলা হয়েছে চিন নেপালের বন্ধু দেশ। প্রতিবেশীও বটে। তাই চিন নেপালের সার্বভৌমত্ব আর আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সর্বদা শ্রদ্ধা করে।