গালওয়ানে নিহত সেনাদের শেষকৃত্যের অধিকার দেয়নি চিন, মার্কিন রিপোর্টে প্রকোট স্বজন হারানোদের আর্তি

গালওয়ানে নিহত সৈন্যদের শেষকৃত্য়ে বাধা চিনের কমিউনিস্ট সরকারের
 মার্কিন রিপোর্ট প্রকোট স্বজন হারানোর আর্তি 
করোনার অজুহাত দিয়ে শেষকৃত্যে বাধা 
নিহত প্রায় ৩৫ লাল ফৌজ 
 

প্রায় এক মাস হতে চলল এখনও চিন জানায়নি গালওয়ানে কত জন লালফৌজের মৃত্যু হয়েছে। আরও স্পষ্ট করে বললে নিহত লাল ফৌজের সংখ্যাই বলেনি চিন। কিন্তু গালওয়ানে যে  পিপিলস লিবারেশ আর্মির মৃত্যু হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন চিনের সেনা আধিকারিকরা। লাদাখের চুসুলে তৃতীয় দফার বৈঠকে সেনা সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন গালওয়ান সংঘর্ষে তাঁদের কমান্ডার লেবেলের এই সেনার মৃত্যু হয়েছে। ভারতী সেনা বাহিনীর মতে সংখ্যাটা ৪০-৪৫ এর কাছাকাছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব থেকেছে চিন। 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার একটি রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী সি জিংপিং সরকার মৃত সেনাদের তথ্য যাতে ফাঁস না হয়ে যায় তারজন্য একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মৃতসেনা দের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান করতে বাধা দিচ্ছে প্রশাসন। পাশাপাশি নিহত সৈনিকদের জন্য কোনও মিছিল করার ওপরেও জারি করা হয়েছে বিধি নিষেধ। 

Latest Videos

মার্কিন রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে ঘটনার পরই ভারত স্বীকার করে নিয়েছিল গালওয়ান সংঘর্ষে ২০ জন সেনার নিহত হয়েছে। একাধিক আহত সেনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও সেনা সূত্রে জানান হয়েছে। নিহত সৈনাদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়রা যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। নিজের অনুষ্ঠান মন কি বাত-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও স্বীকার করে নিয়েছিলেন দেশের ২০ সৈন্য নিহত হয়েছে। সম্পূর্ণ অন্য পথে হেঁটেছে চিন। 

মৃত সেনার সংখ্যা লুকাতে ব্যস্ত চিন স্বজনহারারে কান্নাও বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছে। মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছে চিন সরকার শুধু হতাহত সৈন্যদের তথ্য গোপন করছে তা নয়, নিহত সৈন্যদের শেষকৃত্যেও বাধা তৈরি করেছে। 

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী গালওয়ান সংঘর্ষে প্রায় ৩৫ জন চিনা সেনা নিহত হয়েছিল।

মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেই চিনে নগর বিষয়ক মন্ত্রক নিহতদের পরিবারের ঐতিহ্যবাহী শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান না করে সাধারণ অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দিয়েছিল। সংঘর্ষের ঘটনার একাধিক চিহ্ন মুছে ফেলার জন্যও একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। 

মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী বেজিং-এর এই নির্দেশে স্বজন হারানো পরিবারগুলি রীতিমত ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিনা কর্তার কথায় সেনাদেশ শহীদ তকমা পাওয়া অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সি জিংপিং প্রশাসন। তাই নিহত লাল ফৌজদের শ্রদ্ধা জানান বা তাঁদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা হোক চায়না বেজিং। তাই সবপথ বন্ধ করতেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

New Alipore-এ বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি, আগুন নেভাতে মরিয়া দমকল
‘Mamata Banerjee আজ TMC-র মুখ্যমন্ত্রী আছেন কাল জামাতের মুখ্যমন্ত্রী হবেন’ বিস্ফোরক Sukanta Majumdar
কেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছিল? আসল কারন ফাঁস করলেন Suvendu Adhikari, শুনলে চমকে উঠবেন
ক্যানিং-এ এসে ভেবেছিল ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকবে! রাতেই গ্রেপ্তার কাশ্মীরি জঙ্গি | Canning News Today
অনলাইনে পুজোর দেওয়ার নামে প্রতারণা! ঘাড় ধরে নিয়ে গেল পুলিশ | Hooghly News Today