জমে উঠেছে নতুন ঠান্ডা যুদ্ধ
এবার মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দিল চিন
সপ্তাহের শুরুতেই চিনের দূতাবাস বন্ধ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন
তখনই প্রতিশোধের কথা বলেছিল চিন
চোখের বদলে চোখ। মার্কিন-চিন ঠান্ডা যুদ্ধটা এইভাবেই লড়ছে বেজিং। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংদু-র মার্কিন কনস্যুলেটের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ চেংদু থেকে পাত্তারি গোটাতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই সপ্তাহের শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনে চিনা কনস্যুলেট বন্ধ করে দিয়েছিল। তারই প্রতিশোধে এবার বন্ধ করা হল মার্তিন দূতাবাস।
চিনা বিদেশ মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক পদক্ষেপের বৈধ এবং প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া'। চিন-মার্কিন সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে ঠেকেছে। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের দাবি এই পরিস্থিতি চায় না বেজিং। এইরকম গনগনে পরিবেশ তৈরির সব দায় তারা চাপিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর।
১৯৮৫ সালে চিনের চেংদু শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই মার্কিন কনসুলেটটি। এই দূতাবাসে প্রায় ২০০ জন কর্মী কাজ করতেন। তার মধ্যে স্থানীয় চিনা কর্মীর সংখ্যাই প্রায় ১৫০ জন। দূতাবাস বন্ধ হওয়ায় এঁরা প্রত্য়েকেই কাজ হারাবেন।
গত মঙ্গলবার, আচমকাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ৭২ ঘন্টার মধ্যে হিউস্টন শহরের চিনা কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। যার পর বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। সেই সময়ই বেজিং হুমকি দিয়েছিল, মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
দূতাবাস বন্ধের কারণ হিসাবে ট্রাম্প প্রশাসন বলেছিল ওই চিনা দূতাবাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হুমকির হয়ে উঠছিল। পরে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও থেকে শুরু করে একাধিক মার্কিন রিপাবলিকান সেনেটর অভিযোগ করেছেন হিউস্টনের দূতাবাসে কোনও কূটনৈতিক কাজ হত না। বরং, সেখান থেকেই কাজ করত বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে থাকা চিনা কমিউনিস্ট পার্টির গুপ্তচররা।