ড্রাগনের নজর কি এবার শিলিগুড়ি করিডোরে, প্রতিবেশী ভূটানের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট খোলার প্রস্তুতি লাল ফৌজের

  • ভারতেকে উত্যক্ত করতে চিনের নজরে ভূটান 
  • লক্ষ্য হতে পারে শিলিগুড়ি করিডোর
  • ভূটানেও বাড়ছে ড্রাগনের নিঃশ্বাস
  • ডোকালামের নজরদারী বাড়াচ্ছে চিন  
     


লাদাখ আর দক্ষিণ চিন সাগরের পর এবার চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের সদস্যদের নতুন উদ্যেগ। ভারতের প্রতিবেশী রাজ্য ভূটানের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি ফ্রন্ট খোলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। পাশাপাশি বেজিং-এর তরফ থেকে অব্যহত রয়েছে হুমকি।  একটি সূত্রের খবর চিনার সেনার প্রস্তাবে সহমত হওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই সি জিংপিং-এর প্রশাসন একাধিকবার হুমকি দিয়েছে ভূটানের মত ছোট্ট শান্তিকামী রাষ্ট্রটিকে।  একটি সূত্র বলছে চিনের পিপিলস লিবাবেশন আর্মির টহল দেওয়ার জন্য পশ্চিম ও মধ্যবর্তী অংশ ব্যবহার করার দাবি জানিয়েছে। আর চিনের মত যদি ভূটান না মানে তাহলে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

সমর বিশেষজ্ঞদের কথায় ভূটান নয় চিনের টার্গেট ভারত। কারণ শিলিগুড়ি করিডোরের  সংলগ্ন ভূটান। তাই ওই এলাকায় চিনা সেনার অবাধ বিচরণ ভারতের জাতীয় সুরক্ষার কাছে রীতিমত উদ্বেগের বিষয়। কারণ চিনা সেনা ভূটানের যে অংশ ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে সেটি ভারতীয় সামীন্ত লাগোয়া। আর পূর্ব লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনার মধ্যে ভারতের সীমান্ত উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেতে চিন পরিকল্পনামাফিক ভূটানকে প্রোরোচিত করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ সালে ডোকালাম লাম সংঘর্ষের সময় ভূটানের সহযোগিতা পায়নি চিন। এইবার যাতে আর নতুন করে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয় তারজন্য ভূটানের বেশ কয়েকটি সীমান্ত এলাকা চিন নিজের বলে দাবি করেছে। যা নিয়ে রীতিমত চমকে গেছে ভূমান। 

Latest Videos

ভূটানের চিনা আঞ্চলিক দাবির মধ্য উল্লেখযোগ্য হল পশ্চিমাঞ্চলের ৩১৮ বর্গ কিলোমিটার ও কেন্দ্রীয় খাতে ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখলেও চিন নিজের আগ্রাসনবাদী নীতি থেকে আপাতত পিছু হাঁটছে না বলেই অনুমান করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চুম্বি উপত্যকার পূর্ব দিকে প্রায় ৪০ কিলোমটার বিস্তৃত নতুন সীমান্ত দাবি করছে। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে এই এলাকাটি চিনা সেনার জন্যই সংরক্ষিত রাখা হবে। এই এলাকায় দিয়ে সাঁজোয়া গাড়ি যাতায়াত করবে, তৈরি হবে নতুন হেলিপ্যাড।  সেনাবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় রসদ পাঠাতে এই এলাকার গুরুত্ব অপরিসীম বলেও দাবি করা হয়েছে। 

ইতিমধ্যেই চিনা বাহিনীর একটি অংশ ডলং চু হয়ে ডোকালামের দক্ষিণে প্রবেশ করেছিল। আর সেই কারণে লালফৌজের নির্দেশমত খালি করা হয়েছিল ভূটানের রাজা-রানি হ্রদ সংলগ্ন এলাকায়। এই এলাকায় মূলত পশুপালকরাই থাকে। এর বিশেষজ্ঞের কথায় চিনের এই পদক্ষেপ মূল উদ্দেশ্যই হল সীমান্ত নীতি নিয়ে আগ্রাসন প্রতিপন্ন করা। যা ভূটানের পাশাপাশি ভারতকেও দেখিয়ে দেওয়া। 

অন্যদিকে চিনা সেনা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি উচ্চ মানের ক্যামেরা বসিয়ে উত্তর ডোকালামে নজরদারি বাড়িয়েছে। রাজবাড়ির দেওয়ালে কান পাতলে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে  চিনা সেনাকে প্রতিহত করার পরিকল্পনা তৈরি করছেন ভূটানের রাজা। কিন্তু চিনা সেনার মোকাবিলায় ভূটান কতটা তৎপর হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।  কারণ এর আগে চিনা সেনা ভূটানের সাকেং ওয়াইল্ডলাইফ অবয়ারণ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় নিজেদের বলে দাবি করেছিল। যা নিয়ে রীতিমত অবাক হয়েছিল থিম্পু। কারণ গত ৩৬ বছর ধরে বেজিং কোনও দিনই এই এলাকার দাবি জানায়নি।

Share this article
click me!

Latest Videos

'উল্টো ধুয়ে সোজা করব' রুদ্রমূর্তিতে শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari
ট্যাবের টাকা মুহূর্তে হাওয়া! কাদের অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে , এবার গোসাবায় | Bengal Tab Scam | Gosaba
‘জনগণের কষ্টের টাকায় মুখ্যমন্ত্রী উৎসব করবেন!’ মমতাকে ধুয়ে দিলেন সুকান্ত, দেখুন কী বললেন | Sukanta M
উত্তর ব্যারাকপুরে শোকের ছায়া! নিজের বাড়ির ছাদ থেকেই পাওয়া গেল নিথর দেহ | North 24 Parganas News
বিয়ের মঞ্চে নববধূর এমন কাণ্ডে হতবাক সকলে! ছুটে গেলেন বিজেপির শমীক | BJP West Bengal