করোনার আতঙ্ক এভাবে চলতে থাকলে এবার অচিরেই অমিল হতে হবে প্য়ারাসিটামল বা আইব্রুফেনের মতো ওষুধ। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স অ্য়ান্ড ইন্ডাস্ট্রি অন্তত এমনটাই আশঙ্কা করছে।
শুধু ওষুধ নয়, সেইসঙ্গে স্মার্ট ফোন ও অন্য়ান্য় শিল্পেরও খোঁজখবর করেছে এফআইসিসিআই। তার থেকেই তারা নিশ্চিন্ত হয়েছে যে, চিনে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এভাবে চলতে থাকে ফেব্রুয়ারির পর থেকেই আর বাজারে পাওয়া যাবে না অত্য়াবশ্য়ক এই ওষুধগুলি।
সংগঠনের পক্ষে এমনটাও আশঙ্কা করা হয়েছে, চিনে যদি শাটডাউন চলতেই থাকে, তাহলে ফেব্রুয়ারির পর থেকেই বাড়তে পারে ওষুধের দাম। ভারতের ৭০ শতাংশ ওষুধ তৈরিতে চিনের ভূমিকা রয়েছে। তাই চিনে যদি এই বন্ধদশা চলতে থাকে, তাহলে তার থেকে প্রভাবিত হবে এদেশের উৎপাদনও।
এর মধ্য়ে বেশ কিছু ওষুধকে চিহ্নিত করা হয়েছে, চিনের উহান প্রদেশ থেকে যেগুলো আমদানি করা হয় এদেশে। সেগুলোর বিকল্প উৎপাদন ব্য়বস্থার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রক। তবে তাতে করে কতটা সমস্য়ার সুরাহা হবে তা বলা কঠিন।
চিনে এখনও অবধি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্য়া ১৫০০ ছাড়িয়েছে। গোটা বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্য়া ৬০হাজারের আশপাশে। উহানে থাকা ভারতীয়দের একটি বিশেষ এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে করে দেশে নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে জ্বর হলে আপামর জনগণ প্য়ারাসিটামলের মতো নিরাপদ ওষুধকেই ভরসা করে। শুধু জ্বরই নয়, যে কোনও ব্য়থা বেদনাতেও কাজে লাগে ওই ওষুধের। তাই করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হোক বা না-হোক, বাজারে প্য়ারাসিটামলের মতো ওষুধ অমিল হলে বা তার দাম বাড়তে পরিস্থিতি যে রীতমতো শোচনীয় হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য়।