পূর্ব লাদাখ সেক্টরে বিবাদের মধ্যেই আবারও একটি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে চিন। সূত্রের খবর চিনা সেনাবাহিনী পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা করা হচ্ছে তিব্বতের যুবকদের। একই সঙ্গে ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় কী করে লড়াই করতে হবে বা আবস্থান করতে হবে তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
করোনার তৃতীয় তরঙ্গ মোকাবিলায় তৈরি দেড় হাজার অক্সিজেন প্ল্যান্ট, জানান হল প্রধানমন্ত্রীকে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষ স্থানীয় এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, গোয়েন্দাদের রিপোর্ট হাতে এসেছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বোঝা যাচ্ছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার ভারতের সঙ্গে বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চিন। আর সেই কারণেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে তিব্বতী তরুণদের। ইতিমধ্যেই তিব্বতী তরুণদের নিয়োগ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ।
পূর্ব লাদাখ সেক্টর, আবারও চিনকে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিল ভারত
সূত্রের খবর, গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী তিব্বতি যুবকদের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। দেখা হয়েছে বেজিংএর প্রতি তাদের আনুগত্যও। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তিব্বতি তরুণদের চিনা ভাষা শেখানোর ওপরেও। একই সঙ্গে দলাই লামা বিষয় তরুণদের কী মত তাও জানা হয়েছে। ভারত অনেক আগে থেকেই স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (SFF) এ তিব্বত থেকে নির্বাসিত তরুণদের নিয়োগ করে থাকে। তাঁদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণও দেয়। তাঁরা রীতিমত দক্ষতার সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষার কাজে ব্রতী। গত বছর ভারতীয় সেনা বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্যাংগং হ্রদ এলাকায় চিনা সেনাদের রুখে গিয়েছিল এসএফএফ। যা চিনা সেনাদের কিছুটা হলেও অবাক করেছিল। এটা দেখেই চিন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও সূত্রের খবর।
কোভ্যাক্সিন নিয়ে আশাবাদী WHOর বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন, দেখুন কী কী বললেন তিনি
সূত্রের খবর চিন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছে। কারণ এক দিকে তিব্বতি তরুণদের সেনা বাহিনীতে নিয়োদের ফলে ভারতের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও কৌশলগত অবস্থানে ভালো জায়গায় থাকবে চিন। কারণ চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে তিব্বত ভারতের অনেক কাছে। সেনা বাহিনীর ওপর চাপও অনেকটা কমবে। এছাড়া সেনা বাহিনীর তরুণদের জায়গা দেওয়ার ফলে, তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে স্থানীয়দের মধ্যে বেজিংএর গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বাড়বে।
গত বছর থেকেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে অবস্থান করছে চিনা সেনা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ছিল যে জুন মাসে উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। নিহত হয়েছিল ২০ ভারতীয় জওয়ান। তারপর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও খুব একটা উন্নতি হয়নি। একাধিক বৈঠকের পর দুই দেশেই বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আবারও সামরিক বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও চিনা সেনা কর্তারা।