অভিনন্দনের মতোই কি দেশে ফিরবেন কুলভূষণ, জানা যাবে ১৭ জুলাই

  • পাকিস্তানের জেলে বন্দি কুলভূষণ যাদব
  • চরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় পাক সামরিক আদালত
  • রায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যায় ভারত
  • গত ফ্রেবুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি হয়

debamoy ghosh | Published : Jul 5, 2019 4:57 AM IST / Updated: Jul 05 2019, 11:13 AM IST

চরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয় কুলভূষণ যাদবের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে আগামী ১৭ জুলাই। ওই দিনই প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসারকে নিয়ে রায় দিতে পারে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত। চরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক আদালত। 

ভারতের প্রাক্তন এই নৌসেনা অফিসারকে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল পাকিস্তানের আদালত। যদিও চরবৃত্তি-সহ যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে ভারত ওই বছরেরই মে মাসে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়। ভারতের অভিযোহ ছিল, ভারতীয় কুটনীতিকদের সঙ্গেও কুলভূষণকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। যা ভিয়েনা চুক্তির পরিপন্থী বলে ভারত অভিযোগ করে। একই সঙ্গে ভারতের অভিযোগ ছিল, পাকিস্তানের সামরিক আদালতে যে বিচার চলেছে, তা নেহাতই লোক দেখানো। 

Latest Videos

ভারতের আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তজার্তিক আদালতে চারদিন ধরে শুনানি হয় এই মামলার। ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশই কুলভূষণকে নিয়ে তাঁদের বক্তব্য পেশ করে আদালতে। নিজেদের আবেদনে কুলভূষণে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বাতিল করা এবং অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়েছিল ভারত। আবার পাল্টা পাকিস্তানের দাবি ছিল, কুলভূষণ কোনওভাবেই একজন ব্যবসায়ী নন। বরং তিনি গুপ্তচবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত। ইসলামাবাদের দাবি ছিল, উইরান সীমান্ত দিয়ে বালুচিস্তানে প্রবেশের পরেই ২০১৬ সালে ৩ মার্চ কুলভূষণকে গ্রেফতার করা হয়। 

পাকিস্তানের এই যুক্তি খণ্ডন করে নয়া দিল্লি পাল্টা দাবি করে, ইরানে ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন কুলভূষণ। সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ ভারতের। নৌসেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর কুলভূষণ ব্যবসা করতেন বলেই দাবি করেছে নয়া দিল্লি। শেষ পর্যন্ত ভারতের দাবি মেনে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে স্ত্রী এবং মায়ের সঙ্গে কুলভূষণকে দেখা করার অনুমতি দেয় পাকিস্তান। 

এ বছরের শুরুতেই বালাকোট অভিযানের পরে পাক যুদ্ধবিমানকে তাড়া করতে গিয়ে পাক মাটিতে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতীয় নৌসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান ভেঙে পড়ার পরে সেদেশের সেনার হাতে বন্দি হন তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য শান্তির বার্তা দিয়ে দ্রুত অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান। অভিনন্দনের মতো কুলভূষণও ফিরে আসতে পারেন কি না, তা অবশ্য সময়ই বলবে। 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

৫০০০ টাকা ধার শোধ করতে না পারায় যা ঘটল! দুপক্ষই থানার দ্বারস্থ | Berhampore News Today | Bangla News
সিঙ্গুরের রাস্তায় জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রায় পা মেলালেন সাংসদ রচনা ব্যানার্জী! | Jagadhatri Puja 2024
তৃণমূল সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি ধরে ফেলল বিজেপি, দেখুন কী বললেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
Live: আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা বিজেপির, দেখুন সরাসরি
Virat Kohli: ৫০ ফুটের বিরাট! কোহলির ৩৬ তম জন্মদিন পালনে সাঁতরাগাছিতে মহোৎসব! | Howrah News Today