ইরাকের নারীদের কথা ছবিতে বিশ্বের সামনে নিয়ে এসেছিলেন নাজিয়া সেলিম, সম্মান জানাল গুগল ডুডল

নাজিয়া সেলিম ইরাকের একজন চিত্রশিল্পী ও অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর কাজে প্রায়শই ইরাকের গ্রামীণ নারী এবং কৃষকদের জীবন ফুটে উঠত। শুধুমাত্র ব্রাশের স্ট্রোক এবং উজ্জ্বল রঙের মাধ্যমে ছবি ফুটিয়ে তুলতেন তিনি। 

ডুডুলের মাধ্যমে ইরাকের নাজিয়া সেলিমকে শ্রদ্ধা জানাল গুগুল। শিল্পের দুনিয়ায় তাঁর অবদানকে সম্মান জানাতেই গুগলের তরফে এই ভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ২০২০ সালে ২৩ এপ্রিল অর্থাৎ আজকের দিনেই নাজিয়ার আঁকা একটি ছবি বারজিল আর্ট ফাউন্ডেশনে প্রদর্শিত হয়। এবং মহিলা শিল্পী বিভাগে তাঁকে তুলে ধরা হয়েছিল। তার জেরেই গুগলের তরফে আজ তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

নাজিয়া সেলিম ইরাকের একজন চিত্রশিল্পী ও অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর কাজে প্রায়শই ইরাকের গ্রামীণ নারী এবং কৃষকদের জীবন ফুটে উঠত। শুধুমাত্র ব্রাশের স্ট্রোক এবং উজ্জ্বল রঙের মাধ্যমে ছবি ফুটিয়ে তুলতেন তিনি। আসলে তিনি ঠিক যে ধরনের ছবি আঁকতেন তাই ডুডলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া শিল্পে তাঁর যে অবদান সেই বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে।

Latest Videos

আরও পড়ুন- রাশিয়ার সৈন্যদের বোমার চিহ্ন, সুন্দরী কিশোরীর মুখ সবুজ হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন ইউক্রেনের কূটনীতিকের

নাজিয়া সেলিম

দুটি ছবি মিলিয়ে আজকের ডুডল তৈরি করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, সেলিম তাঁর ছবি আঁকার তুলি নিয়ে রয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর একটি ছবিও রয়েছে। যেখানে গ্রামীণ ইরাকের এক মহিলার ছবি এবং তাঁর জীবনকাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উজ্জ্বল রং এবং ব্রাশ স্ট্রোকের মাধ্যমে ওই ছবিটি আঁকা হয়েছে।

আরও পড়ুন- মঙ্গলের আলুর মত চাঁদ ঢাকা দিল সূর্যকে, দেখুন নাসার রোভারের পাঠান ছোট্ট একটি ভিডিও

ইরাকের তুরস্কের এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন নাজিয়া। তাঁর বাবা ছিলেন একজন চিত্রশিল্পী। আর তাঁর মা ছিলেন এমব্রয়ডারি শিল্পী। এছাড়া তাঁর ভাইও শিল্পী ছিলেন। ছেলেবেলা থেকেই শিল্পের প্রতি ভালোবাসা ছিল নাজিয়ার। সব সময় নিজের আঁকা নিয়েই থাকতেন তিনি। এরপর তিনি বাগদাদ ফাইন আর্টসে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এরপর তিনি ছিলেন প্রথম মহিলা যিনি স্কলারশিপ পেয়ে প্যারিসের École Nationale Supérieure des Beaux-Arts-এ উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। তারপর তিনি যান প্যারিসে। সেখানে ফ্রেসকো এবং মুরাল পেন্টিংয়ের উপর স্পেশালাইজেশন করেন। এরপর বিভিন্ন দেশে তিনি নিজের বিভিন্ন কাজ করেছেন।

গুগল ডুডল

উচ্চশিক্ষা লাভ করার পর নাজিয়া ফেরেন বাগদাদে। এরপর একটি ফাইন আর্টস প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন তিনি। জীবনের বাকিটা সময় সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই ছিলেন। অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানেই কাজ করেছেন তিনি। ইরাকের শিল্পী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকী, আল-রুওয়াদের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর কাজগুলি শারজা সংগ্রহশালা এবং মডার্ন আর্ট ইরাকি আরকাইভে রাখা হয়েছে। সেখানে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে তাঁর সৃষ্টিগুলি। 

আরও পড়ুন- একই সারিতে চার গ্রহ, কীভাবে খালি চোখে দেখবেন মাঝ আকাশের মহাজাগতিক দৃশ্য

Share this article
click me!

Latest Videos

Chinmay Krishna Das-কে দেখা মাত্রই 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনিতে মুখরিত চট্টগ্রাম কোর্ট চত্বর, দেখুন ভিডিও
দেখা যাক ২৬-এর মসনদ কার দখলে যায়? Mamata-কে চ্যালেঞ্জ Agnimitra-র
তুমুল প্রতিবাদ! চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উত্তাল Bangladesh | ISKCON
‘আমি আজও জানতে পারলাম না সেই রাতে কী হয়েছিল’ চোখে জল চলে আসবে অভয়ার মা-বাবার কথা শুনে | RG Kar
'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য Mamata রোহিঙ্গাদের হিন্দুদের জমি দিচ্ছে' বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra-র