প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুপুরী হাইতি, ভূমিকম্পের রেশ কাটার আগেই সামনে নতুন বিপদ

হাইতিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ভূমিকম্পের সব হারানোর নতুন ভয় বন্যা পরিস্থিতি। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 18, 2021 10:36 AM IST

মৃত্যুপুরী হাইতি বললে খুব একটা  ভুল  হবে না। এখনও স্বজন হারানো কান্না ভেসে যাচ্ছে হাইতির বাতাসে। গত শনিবার দুলে উঠেছিল হাইতির মাটি। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে তা ২ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। পরিস্থিতিত স্বাভাবিক হতে আরও কতদিন সময় লাগবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দুটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করে বর্তমানে হাইতিবাসীর জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। কারণ ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই প্রবল ঝড় আর বৃষ্টি শুরু হয়েছে সেখানে। যার ফলে বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 

মহিলাদেরও স্বাধীনতা নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি, আগের তালিবানদের থেকে দূরত্ব বাজায় রাখল বর্তমানরা

হাইতির ন্যাশানাল এমার্জেন্স অপারেশনস সেন্টার জানিয়েছে মঙ্গলবার  সন্ধ্যে পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ১ হাজার ৯৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৯হাজার ৯০০ জন। তবে ২৪ আগে হাইতিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪০০। দ্রুত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। শনিবার হাইতেত ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.২ ম্যাগনিচিউড। কম্পনের উৎসস্থল ছিল রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ৪০ মাইল পশ্চিমে। প্রবল এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রায় লন্ডভন্ড হাইতিবাসীর জীবন। ভিটেমাটে হারিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি তাঁবুতে। কিন্তু সরকারি ত্রাণ শিবিরগুলির অবস্থা বিপর্যস্ত। সেখানে খাবার আর জন অপ্রতুর। দিনের পর দিন অভুক্ত থাকা মানুষের কান্নায় ক্রমশই ভারি  হচ্ছে বাতাস। অভাব রয়েছে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই তাঁরা ত্রাণ শিবিরে রয়েছে। সেখানে খাবার আর জলের তীব্র অভাব রয়েছে। আর অভাব রয়েছে চিকিৎসকের। দুই শিশুর মা এক মহিলাকে উদ্ধার করে শিবিরে নিয়ে এলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। 

Afghanistan Crisis: বামিয়ান বুদ্ধের স্মৃতি ফিরল আফগানিস্তানে, হাজারা নেতার মূর্তি গুঁড়িয়ে দিল তাবিলানরা

ভূমিকম্পের বিপদ কাটিয়ে ওঠার আগেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামে জল বাড়ছে। প্রবল জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। হাইতির দক্ষিণ উপকূলে জ্যাকমেল শহরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে বইছে নদীর জল। ভূমিকম্পের কারণে অনেকে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা সমস্যায় পড়েছে। তবে সরকারি অফিস ও স্কুল গুলিতে নতুন করে ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  তবে সাইক্লোনের কারণে হাইতির পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। রাষ্ট্র সংঘের তৎপ থেকে বলা হয়েছে ভূমিকম্পের ফলে সব হারানো হাইতিবাসী এখন বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছে। 

  

 

Share this article
click me!