এটুকুই যা বাকি ছিল। চিনে এবার সদ্য়োজাতের রক্তে মিলল করোনাভাইরাস। যে শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই উহানেই এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, জন্মের মাত্র ৩০ ঘণ্টার মধ্য়েই ওই শিশুর রক্তে পাওয়া গিয়েছে করোনাভাইরাস।
চিনে করোনাভাইরাস কার্যত মহামারির আকার নিলেও, এখনও পর্যন্ত এত ছোট কাউর রক্তে করোনাভাইরাসের নমুনা মেলেনি। সন্দেহ করা হচ্ছে, জন্মের সময়ে বা তার কিছুটা পরে মায়ের শরীর থেকেই এই করোনাভাইরাস শিশুর দেহে সংক্রামিত হয়েছে। কারণ, বাচ্চা জন্ম দেওয়ার আগে ওর মায়ের রক্তে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মনে করা হচ্ছে, গত বছর ডিসেম্বর থেকে চিনের উহান মার্কেট বিক্রি হওয়া পশুর মাংস থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাসের জীবাণু। তারপর থেকে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে চিনে। এমনকি, চিনের বাইরেও পঁচিশটি দেশে করোনাভাইরাসের রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য় কমিশন মঙ্গলবার জানিয়েছিল, এই করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বয়সের একজন আক্রান্ত হয়েছে ৯০ বছর বয়সে। তবে ৮০ শতাংশ মৃ্ত্যুর ঘটনাই ঘটেছে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্য়ে।
এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, উপসর্গ ছাড়াও এই রোগ দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে রোগের বেশিরভাগ উপসর্গই হয়তো নেই, কিন্তু ভেতরে ভেতরে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা আর বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, রোগের উপসর্গ না-থাকলে স্বাভাবিকভাবেই কেউ আর রক্ত পরীক্ষা করতে যাবেন না। তখন শেষ পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে তার চিকিৎসাও অনেক জটিল আকার নিতে পারে বলেই আশঙ্কা।