বুধবারই শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন
সময় নষ্ট না করে কাজে নেমে পড়লেন তিনি
প্রথমদিনই বাতিল ট্রাম্পের অন্তত ১৫টি নীতি
পাল্টে গেল ট্রাম্পের করোনা, জলবায়ু, দেওয়াল, মুসলমান নীতি
বুধবারই ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। আর শপথ নেওয়ার পরই পরিবর্তনের কাজে নেমে পড়লেন তিনি। প্রথমদিনই নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর রিপাবলিকান পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি বাতিল করে অন্তত ১৫টি কার্যনির্বাহী কর্মসূচিতে সাক্ষর করেছেন বলে জানা গিয়েছে। করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, ট্রাম্পের দেওয়াল - বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই প্রথমদিনই পদক্ষেপ নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
বুধবার বিকেলে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই এই সকল পদক্ষেপের বিষয়ে আদেশনামায় স্বাক্ষর করেন বাইডেন। তিনি জানান, এই সকল কার্যনির্বাহী আদেশ, স্মারকলিপি এবং নির্দেশ জারি করার ক্ষেত্রে তাঁর প্রশাসনের 'অপচয় করার মতো কোনও সময় নেই'। এই সকল পদক্ষেপে কোভিড সঙ্কটের গতিপথ পাল্টাবে, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় শুরু হবে নতুন যুদ্ধ, বর্ণবিদ্বেষ হবে দূর এবং এতদিন যাঁরা সরকারি পরিষেবার সুবিধা পাননি, তাঁরাও সরকারি সমর্থন পাবেন। তবে প্রথমদিনের এইসব পদক্ষেপ সবে শুরু বলেই জানিয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোয়াইট হাউসে পা রেখেই যেসব পরিবর্তন এনেছেন, তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল - সরকারি জায়গায় এবং সরকারি কর্মীদের জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক, করোনাভাইরাস মোকাবিলা প্রক্রিয়াকে সমন্বিত করে হোয়াইট হাউসে একটি নতুন অফিস প্রতিষ্ঠা করা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমেরিকার সরে আসার প্রক্রিয়া বন্ধ করা, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফের আমেরিকার প্রবেশের প্রক্রিয়া শুরু, বিতর্কিত কীস্টোন এক্সএল তেল পাইপলাইনকে দেওয়া রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের অনুমতি প্রত্যাহার, মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণে অর্থ সহায়তার বিষয়ে ট্রাম্পের জরুরি ঘোষণা বাতিল, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলির নাগরিকদের মার্কিন মুলুকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার অবসান ইত্যাদি।
জো বাইডেনের ফার্স্ট সেক্রেটারি জেন সোসাকি জানিয়েছেন, প্রথম দিনের এই তথপরতা জো বাইডেনের দায়িত্ব নেওয়ার পর কার্যনির্বাহী পদক্ষেপের সূচনা মাত্র। সামনের কয়েক দিন এবং সপ্তাহে মার্কিন জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য আরও বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করবে বাইডেন প্রশাসন। এরমধ্যে সামরিক বাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের আমেরিকানদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা, বিদেশের মাটিতে গর্ভপাতের সঙ্গে জড়িত কর্মসূচীতে মার্কিন তহবিলকে আটকানোর নীতি প্রত্যাহার-এর সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রেও আরও কিছু পদক্ষেফ নেওয়া হবে।