নিষিদ্ধ বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক স্থাপন। ইন্দোনেশিয়ায় লিভ টুগেদার। নিষিদ্ধ গর্ভপাত। আর এই এই তিন নিষেধ নিয়েই নতুন এক বিলের প্রস্তাবনা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। আর তার বিরোধিতায় আপাতত তীব্র বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া জুড়ে। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে আগুন জ্বেলে এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের আটকাতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস থেকে জলকামান ব্যবহার করেতে হচ্ছে।
শুদু রাজধানী জাকার্তাতেই নয়, প্রস্তাবিত বিলটি নিয়ে ইন্দোনেশিয়া বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ চলছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিলটি এখনও পার্লামেন্টে পাস হয়নি। তবে সেখানকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, পার্লামেন্টে বিলটি নিয়ে ভোট হলে তা শেষ পর্যন্ত পাস হয়ে হবে। আর তাই বিলটি পার্লামেন্টে পেশ করার বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।
প্রস্তাবিত খসড়া বিলে বলা হয়েছে, বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। 'লিভ টুগেদার'-এর সাজা পুরুষ ও নারী উভয়ের ছয় মাসের দেল। আর একমাত্র স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যা দেখা দিলে বা ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হলে তবেই গর্ভপাত করানো যাবে। অন্যথায় গর্ভপাত করালে বা করতে বাধ্য করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চার বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার এই বিলের ওপর ভোট হওয়ার কথা থাকলেও গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদাদো এই ভোটাভুটি স্থগিত ঘোষণা করেন। জানান, বিলটি নিয়ে আরও পর্যালোচনার প্রয়োজন আছে। আপাতত স্থগিত করা হলেও শেষ পর্যন্ত বিলটি পার্লামেন্টে পাস হবে বলেই আশঙ্কা বাসিন্দাদের। তাই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন ইন্দোনেশিয়ার মানুষ। আর বিক্ষোভ যারা দেখাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই যুব সম্প্রদায়। পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। প্রতিবাদীরা পুলিশের দিকে ইট-পাথর ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।