দক্ষিণে সফর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের, পরমাণু পরীক্ষার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়া

বাইডেন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এক যোগে বাণিজ্যিক পারস্পরিক নির্ভরতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কাজ করে যেতে হবে। 

Parna Sengupta | Published : May 20, 2022 8:04 PM IST

শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটা তাঁর প্রথম এশিয়া সফর। এরই মাঝে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বাইডেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বন্ধুদেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা। 

উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের পর ১০ মে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ইওন সুক ইওল। এরপরেই বাইডেনের দক্ষিণ কোরিয়ার সফরের খবর জানা যায়। দুই রাষ্ট্র প্রধান মূলত উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপেক্ষপণ পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা করবেন। উল্লেখ্য, বাইডেনের সফরের মাঝেই পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে উত্তর কোরিয়া, এমন সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। পাশাপাশি চিনের আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আলোচনায় থাকবে দুই দেশের বাণিজ্য নীতি। জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডিমিলিটারিজ জোনে যাওয়ার কথা রয়েছে। এটা দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। এই অঞ্চলে দুই কোরিয়ার অধিকার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

বাইডেনের এই সফরের মূল লক্ষ্য এশিয়া জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলা। যেখানে ক্রমবর্ধমান চীনা বাণিজ্যিক ও সামরিক শক্তি ওয়াশিংটনের আধিপত্যকে হ্রাস করছে। এদিন তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওলের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন, তবে উত্তর কোরিয়ার এই অঞ্চলে থাকাকালীন একটি পারমাণবিক পরীক্ষা পরিচালনা করতে পারে এমন উদ্বেগ বাড়ছে।

বাইডেন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এক যোগে বাণিজ্যিক পারস্পরিক নির্ভরতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কাজ করে যেতে হবে। বক্তৃতার আগে, বাইডেন বিশাল স্যামসাং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন, সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদন করতে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলি সম্পর্কে নানা তথ্য সম্পর্কে জানেন তিনি। স্যামসাংয়ের সাথে কাজ করা ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সংস্থার মার্কিন প্রতিনিধির এই বিষয়ে ব্রিফিং দেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। 

স্যামসাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রায় কুড়ি হাজার লোককে নিয়োগ করে এবং ২০২৪ সালে টেক্সাসে একটি নতুন সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলছে। উল্লেখ্য, সেমিকন্ডাক্টর - ফোন থেকে গাড়ি এবং উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র পর্যন্ত বেশিরভাগ আধুনিক ডিভাইসের জন্য প্রয়োজনীয় মাইক্রোচিপগুলি - বিশ্বব্যাপী মন্দার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যা কোভিড-পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে ব্যাহত করার হুমকি দেয়। দক্ষিণ কোরিয়া একটি সেমিকন্ডাক্টর পাওয়ার হাউস, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ শতাংশ চিপ সরবরাহ করে, ইউন তার বক্তৃতায় বলেছিলেন।

সিঙ্গাপুরে ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কম জং উনের বৈঠক হয়। তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম দুজনের দাবি করেছিলেন, বৈঠ সফল হয়েছিল। এরপর থেকে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বন্ধ রাখে। কিন্তু ভিয়েতনামে ট্রাম্প ও কিমের বৈঠর ব্যর্থ হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই কিম বৈঠক ছেড়ে চলে যান। এমনকী নিজের দেশের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপরে উত্তর কোরিয়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন করে। তবে সেই হার আগের থেকে অনেকটাই কম।

Share this article
click me!