ভারতের চোখ রাঙানিতে পিছিয়ে গেল নেপাল, বদলাচ্ছে না মানচিত্র, স্থগিত সংবিধান সংশোধন

বড় কুটনৈতিক জয় ভারতের

আপাতত মানচিত্র বদল নিয়ে নেপালের সংবিধান সংশোধন হচ্ছে না

নেপালের বিরোধী দলগুলি সরকারে সঙ্গে একমত নয়

ভারত এর আগেই এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিল

 

লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকলেও, বুধবার নেপাল ,সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনার ক্ষেত্রে ভারতের একটি বড় কূটনৈতিক জয় পেল। দিনকয়েক আগে মানচিত্রে পরিবর্তন আনার জন্য যে সাংবিধানিক সংশোধনী এনেছিল  সূত্র ধরে নেপাল সরকার, তা পুরোপুরি বাতিল করা না হলেও, আপাতত নেপালের বিরোধী দলগুলির আপত্তিতে সেই সংশোধন স্থগিত রাখা হল।

গত ১৯ মে নেপালের ভূমি সংস্কারমন্ত্রী পদ্ম আরিয়াল সেই দেশের একটি নতুন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মানচিত্র প্রকাশ করেন। সেই মানচিত্রে ভারতের কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরা অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তার একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বে নেপালের মন্ত্রিসভা, ভারত সরকারের দাবি করা ওই ভূখণ্ডগুলি তাঁর দেশের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এরপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন যে ভারত সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে 'বিতর্ক' তৈরি করেছে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধারের শপথ-ও নিয়েছিলেন।

Latest Videos

বুধবার কিন্তু, নেপালের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে তিনি এই বিষয়ে পাশে পেলেন না। এই পদক্ষেপকে বিরোধী দলগুলি মনে করছে, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি-র নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারে নিজের অবস্থান সুসংহত করার প্রচেষ্টা। ব্যক্তিগত লাভের জন্য গোর্খা জাতীয়তাবাদকে উসকে দিতে চাইছেন ওলি, এমন অভিযোগ করেই মানচিত্র বদলের বিষয়ে সহমত হয়নি বিরোধীরা। ফলে একরকম বাধ্য হয়েই সংবিধানে সংশোধনী আনার বিষয়টি স্থগিত রাখল নেপাল সরকার।  

এটা ভারতের পক্ষে বড় কুটনৈতিক জয় বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০ মে নেপালের নতুন সরকারি মানচিত্রে ভারতীয় ভূখণ্ডের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত করার তীব্র সমালোচনা করেছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। তারা একে আলোচনা ছাড়া 'একতরফা পদক্ষেপ' বলেছিল। মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দুইদেশের মধ্যে সমঝোতা রয়েছে। নেপালের এই পদক্ষেপ তা লঙ্ঘন করেছে। ঐতিহাসিক তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া এই অঞ্চলের 'কৃত্রিম অঞ্চল বৃদ্ধি' ভারত মেনে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ইতিবাচক আলোচনার ভিত্তিতে এই বিতর্কের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানানো হয়।

তবে নেপালের এই দাবির ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই এই কথা ভুল। ১৮১৬ সালে ভারতের ব্রিটিশ সরকার এবং নেপালের রাজার মধ্য়ে যে 'সুগৌলির চুক্তি' হয়েছিল, তাতে এই বিতর্কিত তিন এলাকা নেপালের অধীনেই ছিল। ২০১৯ সালের অক্টোবরে এই তিন এলাকাকে ভারত সরকার তাদের সরকারি মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার পর থেকেই এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চলতি মাসেই এই এলাকায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক রাস্তার কাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। যারপর উত্তাপ আরও বাড়ে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

গভীর রাতে ধানক্ষেতে ভয়াবহ দৃশ্য! শিউরে উঠবেন আপনিও, আতঙ্কে গোটা Jaynagar, দেখুন | South 24 Parganas
প্রয়াগে ডুব দিয়ে পবিত্র স্নান সারলেন যোগী আদিত্যনাথ | CM Yogi | Prayagraj | Mahakumbh 2025 |
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এ কী করলো নাবালিকার সঙ্গে! চমকে যাবেন আপনিও, চাঞ্চল্য Nabadwip-এ | Nadia
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury