করোনা থেকে সুস্থ হয়েও মুক্তি নেই, ৯০ দিনের জন্য ওঁত পেতে রয়েছে বিপদ

  • করোনা থেকে সুস্থ হয়েও মুক্তি নেই 
  • তারপরেও থেকে যাচ্ছে বিপদ
  • আক্রান্ত হতে পারে মানসিক রোগে 
  • তেমনই দাবি করছেন নতুন সমীক্ষা 

Asianet News Bangla | Published : Nov 10, 2020 8:35 AM IST / Updated: Nov 10 2020, 02:53 PM IST

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বেঁচে গেলেও নিস্তার নেই। কারণ নতুন একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়া প্রচি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন ব্যক্তি মানসিক রোগের স্বীকার হচ্ছে। ভাইরাস মুক্তির প্রায় ৯০ দিন পরেও সেই ব্যক্তিকে মানসিক অবসাদে ভুগতে দেখা গেছে বলে দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী। 

বিট্রেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোচিকিৎসদের একটি দল এই সমীক্ষা করেছিলে। সংস্থারই এক মনোচিকিৎসক জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা, ও অনিদ্রা  সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকের আবার স্মৃতিভ্রমের মত জটিল ঘটনাও ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই সমস্ত সমস্যা দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তিতে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা বা কাউন্সিলিং-এর প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে যে কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর মস্তিষ্কের অবস্থা কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে যায়। আর সেই থেকেই এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তি করোনা নেগেটিভ হওয়ার তিন মাস পর পর্যন্ত এজাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 


দ্যা ল্যানসেট সাইকিয়াট্রি জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে গবেষকরা দাবি করেছেন তাঁরা ৬৯ মিলিয়ন রোগীর ওপর সমীক্ষা করেছিলেন। যারমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার। আর তাতেই দেখা গেছে করোনা সেরে যাওয়ার পরেও প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন রোগীর মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন আক্রান্তদের মস্তিষ্ক মনকেও প্রভাবিত করেছে।ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের পরামর্শক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মাইকেল ব্লুমফিল্ড বলেছেন, সম্ভবত এই বিশেষ মহামারির সঙ্গে সম্পর্কিত মানসিক চাপ ও অসুস্থতার শআরীরিক প্রভাবগুলি সংমিশ্রণের কারণে এই পরিণতি হচ্ছে। তবে আগেই একটি গবেষণাপত্রে  বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন করোনাভাইরাস মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। তারপর এল এই সমীক্ষা রিপোর্টে যেখানে দেখা যাচ্ছে আক্রান্তরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যা  কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। 


 

Share this article
click me!