করোনা-টিকা বিকাশের দৌড়ে ভারতকে পিছনে ফেলল রাশিয়া, শুরু বাজারে আসার প্রহর গোনা

পিছনে পড়ল ভারত-সহ সব দেশ

করোনা টিকার মানব দেহে পরীক্ষা সম্পন্ন করল রাশিয়া

সেই পরীক্ষা একেবারে সফল বলেও দাবি করা হচ্ছে

এখন শুধু সেই টিকা বাজারে আসার অপেক্ষা

amartya lahiri | Published : Jul 13, 2020 4:45 AM IST / Updated: Jul 13 2020, 08:24 PM IST

নতুন করোনাভাইরাস বিরুদ্ধে কার্যকর এবং নিরাপদ টিকা তৈরির দৌড়ে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চিন-কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল রাশিয়া। চলতি মাস থেকেই ভারতে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের মানবদেহে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আইসিএমআর ১৫ অগাস্টের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় ভারতীয়রা আশা করেছিলেন ভারতেই করোনার প্রথম টিকা তৈরি হবে। কিন্তু, সেকেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে তাদের তৈরি কোভিড-১৯-এর টিকা বা ভ্যাকসিনের মানবদেহে পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে এবং তা প্রত্যাশিতভাবে কাজ করছে।

ট্রান্সিশনাল মেডিসিন অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ভাদিম তারাসভ জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীদের যে প্রথম গ্রুপটি এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিল তাদের চলতি সপ্তাহের বুধবারই ছেড়ে দেওয়া হবে, এবং পরের  স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপটি ছাড়া পাবে ২০ জুলাই। রাশিয়ার এই টিকাটি তৈরি করেছে, গামালেই ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি। গত ১৮ জুন থেকে এই টিকার মানবদেহে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।

তারাসভের দাবি, সেকেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ই বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাস টিকার মানবদেহে পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, পরীক্ষার এই পর্যায়ের উদ্দেশ্য ছিল মানবদেহে ব্যবহারের পক্ষে এই ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষিত, তা যাচাই করা। সেকেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল প্যারাসাইটোলজি, ট্রপিকাল এবং ভেক্টর-বোর্ন ডিজিজি ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর আলেকজান্ডার লুকাশেভ বলেছেন, ভ্যাকসিনটি যে মানবদেহের জন্য সুরক্ষিত সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তাঁরা। এখন, এই মহামারি সংক্রান্ত জটিলতার মধ্যে এই টিকার উত্পাদন কীভাবে বাড়িয়ে তোলা যায় সেই সম্ভাবনা-সহ পরবর্তী ধাপ নির্ধারনের কাজ চলছে।

রুশ দাবি সত্যি হলে করোনাভাইরাস টিকা তৈরির দৌড়ে প্রথম হওয়ার স্বপ্ন সফল হবে না ভারতের। তবে এই মহামারি মানবজাতিকে যদি কোনও শিক্ষা দিয়ে থাকে, তা হল, প্রতিযোগিতা নয়, সমগ্র মানবজাতির মধ্যে সহযোগিতা থাকা উচিত। কাজেই করোনাভাইরাস টিকা কোন দেশ আগে বের করল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, অবশেষে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই-এর একটা অস্ত্র পাওয়া যাবে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

 

Share this article
click me!