২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইউক্রেনীয় সীমানা অতিক্রম করেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতে এই সংকট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী সংকট।
প্রাণ বাঁচানোর আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। শহর তখন রুশ সেনার দখলে প্রায়। ইউক্রেনের (Ukraine) ইরপিন শহর (city of Irpin) ছাড়তে তখন মরিয়া সাধারণ মানুষ (evacuate)। কোনও ক্রমে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে নাকি সাধারণ নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে রুশ সেনা (Russian troops opened fire)। এমনই দাবি ইউক্রেন সরকারের।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইউক্রেনীয় সীমানা অতিক্রম করেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতে এই সংকট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী সংকট।
রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সামরিক আক্রমণের পরে এখনও পর্যন্ত ১.৩৭ মিলিয়ন মানুষ ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশগুলিতে পালিয়ে গেছে। UNHCR- এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের পর থেকে ইউরোপে চলমান অন্যতম বড় শরণার্থী সংকট।"
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে (100 km south of Kyiv) কানিভ হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্ল্যান্টের (Kaniv Hydroelectric Power Plant) দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে রাশিয়ান সেনা (Russian troops)। ফলে নতুন করে বড়সড় সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, শেষ পাওয়া খবর চৌঠা মার্চ রাশিয়ার তরফে জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে (Zaporizhzhia Nuclear Power Plant) হামলা চালানোর পর বিকিরণ মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, যা স্বস্তির খবর। ইউক্রেনের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রক এনারগোঅটমের তরফে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে জানানো হয়েছে যে রাশিয়ান বাহিনী সাইটটিতে আক্রমণ করার একদিন পরে বিকিরণ মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রশাসন দাবি করেছে রুশ সেনা এদিন বেলারুশ সীমান্তে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে চলছে গুলি বর্ষণ ও শেলিং। যা উস্কে দিয়েছিল ৩৬ বছর আগের চেরনোবিল বিপর্যয়ের স্মৃতি। এদিন সংস্থার পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে, সংস্থার প্রধান মারিয়ানো গ্রসি ইুক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ও ইউক্রেনের পরমানুর নিয়ন্ত্রক ডেনিস শ্মিগামের সঙ্গে ঝাপরিঝিয়া প্ল্যান্টের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। একই সঙ্গের প্ল্যান্টের আপারেটরদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।