করোনাভাইরাসের সংক্রমণে রুখতে ন্যানো টেকনোলজি
সংক্রমণ ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়তে বাধা
পরীক্ষাগারেই চলছে নিরীক্ষা
মানুষের শরীরে প্রয়োগের অপেক্ষায় বিজ্ঞানীরা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ন্য়ানো প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন এক দল বিজ্ঞানী। ন্যানো প্রযুত্তির মাধ্যমে বায়ো ডেকয় তৈরি করেই করোনার জীবাণুর সংক্রমে বাঁধা তৈরি করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। ন্যানো লেটার নামের একটি মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। বিজ্ঞানীদের দাবি করোনার জীবাণু মূলত মানুষের ফুসফুসে হামলা চালায়। তাই সংক্রমণ যাতে ফুসফুসে ছড়িয়ে না পড়ে তার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। সেই জন্যই তাঁরা ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যেতে চাইছেন।
এখনও পর্যন্ত পরীক্ষাগারেই আবদ্ধ রয়েছে তাঁদের পরিকল্পনা। যেখানে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা ডেয়ক পলিমার ব্যবহার করেছেন। দেখতে পেয়েছেন এই কৃত্রিম কণা করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবাণুগুলিকে একটি জায়গায় আবদ্ধ রেখে ক্ষয় সাধন করতে পারচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের কথায় একটি এক ক্ষয় প্রযুক্তি। যা অতিক্ষুদ্র জৈব প্রক্রিয়াযুক্ত পলিমার তৈরি করতে সক্ষম। ফুসফুসের টিস্যুগুলির সঙ্গে লেগে থেকে কোষগুলিকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। যার কারণে বাইরে থেকে ন্যানো কণা বা পলিমারগুলিকে জীবন্ত কোষের মতই দেখায়। তাই করোনার জীবানু এগুলিকে মানুষের ফুসফুসের কোষ বলে ভেবে নিয়ে হামলা চালায়। আর সেই কারণে পলিমারের মধ্যে আটকে পড়ে।
কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষমাস, যুদ্ধের আবহে ১৭০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের ...
'যুদ্ধের হুমকি' দেওয়ায় চিনে মুখোশ খুলেছিলেন বাজপেয়ী, রাষ্ট্রদূতের অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন ৮০০ ভেড়া ...
স্বাভাবিক নিয়মে করোনাভাইরাস যখন কোনও মানুষের দেহে প্রবেশ করে তখন তাৎপর্যপূর্ণভাবে সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় ভাইরাসটি। নতুন ভাইরাসটি দেখতে দেখতে ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসে। একসঙ্গে অনেক বেশি কোষকে ঘায়েল করতে সক্ষম হয়। বিজ্ঞানীদের কথায় ন্যানো প্রযুক্তিতে জৈব বান্ধব পলিমার তৈরি করা হয়। যা ফুসফুসের টিস্যু বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকে এমন কোষগুলিতে আবদ্ধ হয়ে গিয়ে মানুষের শরীরের ভিরতে সংক্রমণ ছড়ানোতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।। সংশ্লিষ্ট গবেষকের কথায় কোষের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এটি ভাইরাসটিনে বিনাশ করতে সক্ষম হয়. এগুলি প্ল্যাস্টিকের সামান্য বিট যা কেবলমাত্র জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরীণ সেলুলার যন্ত্রপাতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এটি অনেকটা স্পঞ্জের মত। যেকারণে গবেষকরা এটির নাম দিয়েছেন ন্যানোস্পঞ্জ। বিজ্ঞানীদের কথায় এটি ইবলার মত ভাইরাল রোগের ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে।
জয়প্রিয় ফেয়ারনেস ক্রিমে আর থাকছে না 'ফেয়ার', বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল বহুজাতিক সংস্থা ...
তবে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র পরীক্ষাগারেই সফল হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রাণী ও মানুষের ওপর ট্রায়াল পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা।