একদল মানুষ জড়ো হয়েছেন খোলা মাঠে। সেখানেই বিশেষ তোড়জোড় চলছে মহাকাশে কাবাব পাঠানোর। অতিউৎসাহী দলটি রীতিমত সাজিয়ে গুছিয়ে মহাকাশে কাবাব পাঠাচ্ছে।
কাবাব- এই খাবারটির সঙ্গে কমবেশি সকলেই পরিচিত। অনেকের আবার প্রিয় খাবারের তালিকাতেও রয়েছ পোড়া বা ঝলসানো কাবাব। কিন্তু আপনি ভাবতে পারেন সেই কাবাব এই ব্যক্তি মহাকাশে পাঠানোর চেষ্টা করেছে। সেই ব্যক্তির লক্ষ্য মহাকাশ উড়ানের ৬১ বছর উদযাপন। তুরস্কের সেই ব্যক্তি অবশ্য মহাকাশের টার্কিশ কাবাবই পাঠিয়েছেন। তবে শুধু কাবাব নয়। সঙ্গে ছিল জমপেশ স্যালাডও। আর সেই ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একদল মানুষ জড়ো হয়েছেন খোলা মাঠে। সেখানেই বিশেষ তোড়জোড় চলছে মহাকাশে কাবাব পাঠানোর। অতিউৎসাহী দলটি রীতিমত সাজিয়ে গুছিয়ে মহাকাশে কাবাব পাঠাচ্ছে। কাবারের প্লেটের সঙ্গে ফিট করা হয়েছে একটি ভিডিও ক্যামেরা। যা মহাকাশে কাবারের উড়ানের ভিডিও পাঠিয়েছে। বেলুনে বেঁধেই কাবাবকে মহাকাশে পাঠান হল। তবে শুধু কাবাব নয় রীতিমত গার্নিস করেই সেই কাবাব পাঠান হয়েছিল মহাকাশে।
যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে তাতে কাবাব ল্যান্ডস্কেপ, সমুদ্র, আর দিগন্তের ছবি রীতিমত স্পষ্ট। কিন্তু মিশনটি ব্যার্থ হয়েছে। কবে উৎসাহীর দল কিন্তু বেলুনে উড়ন্ত কাবাবকে ধাওয়া করে একটি সমুদ্রের মধ্যে থেকে সেটিকে উদ্ধার করে। আপনিও দেখুন সেই ভিডিওটি।
এই ভিডিওটি দেখতে দেখতে যে কোনও কাবাব প্রিয় মানুষ বা ভোজন রসিক মানুষ ভাবতেই পারেন কেমন হতে পারে মহাশূণ্যে ভেসে ভেসে কাবাবে কামড় দেওয়ার অভিজ্ঞতা।
তুরস্কের দৈনিক ডেইনি সাবাহ -র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইয়াসার আইদিন ইফতারের খাবারের কয়েক ঘণ্টা আগে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে কাবাবটি পাঠানো যায়নি তা নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন। কাবাবটি আকাশের একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় উড়েছিল। কাবাবের প্লেটটি একটি বেলুনের মাধ্যমে উড়ানো হয়েছিল। মূলত হিলিয়াম গ্যাস ভরা হয়েছিল বেলুনে। আজব এই পরীক্ষা চালান হয়েছিল ১২ এপ্রিল।
১২ এপ্রিল ১৯৬১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার প্রথম মহাকাশে মানুষ পাঠিয়েছিল। প্রথম সফল মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেছিলেন। সেই সময় তনি মাত্র ২৭ বছরের ছিলেন। তিনি ভস্টক ১ নামে মহাকাশ যান চালান। সেই দিনটিকে নিজের মত করে স্মরণ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তুরস্কের এই ব্যক্তি।