ক্লিপটিতে রাফায়ের ও আলেকজান্ডারকে ২৬১ মিটার দীর্ঘ স্ল্যাকলাইন হাঁটার সময় তারা গ্যাস মাস্ক ব্যবহার করেছিলেন। আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুপ্যাত হচ্ছে- কিন্তু তার মধ্যেই দুইজনেই হাঁটা থামায়নি
অগ্নিগহ্বর দিয়ে হাঁটা বা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা-- এই দুটি কথা বললে খুব একটা ভুল হবে না। কারণ দুই ব্যক্তি জুগনো ব্রিডি ও আলেকডান্ডার শুল্জ তেমনই অবাক করা করা কাণ্ড ঘটিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা একটি রেকর্ডও তৈরি করেছেন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়েছে তাঁরে অদ্ভূদ কার্যকলাপ। কারণ দুই ব্যক্তি জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির ওপর দিয়ে দঁড়ির রাস্তা পার করেছেন। যা দেখলে মেরুদণ্ডের মধ্যে দিয়ে চোরা স্রোত বইতে বাধ্য হবে আপনারও। কারণ তাঁদের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। পাশাপাশি রীতিমত অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাফায়েল ও আলেকডান্ডার দুজনেই আগ্নেয়গিরির ওপর দিয়ে দীর্ঘতম স্ল্যাকলাইন হাঁটার রেকর্ড তৈরি করেছেন। খালি পায়ে তাঁরা হাঁটছেন একটি সরু দঁড়ির ওপর দিয়ে। যা আগ্নেয়গিরির এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে বাঁধা রয়েছে। পায়ে রয়েছে স্পোর্টশু। আর মাথায় হেলমেট। পরলে স্পোর্টস ড্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাপশন অনুযায়ী ইয়াসুর পাহাড়কেই তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করার জন্য। পর্বতের মাধে গর্ত। আর সেখানেই জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। যার মধ্যে দিয়ে মাঝে মাঝেই লাভা ফোয়ারের মত বেরিয়ে আসছে। সেই ভয়ঙ্কর পথেই তাঁরা চলছেন। প্রশান্ত মহাসাগরের তন্না দ্বীপের ইয়াসুর আগ্নেয়গিরিই ছিল গ্রিনেজ রেকর্ডের স্থান। আগ্নেয়গহর্বরের প্রায় ৪২ মিটার বা ১৩৭ ফুট উঁচুতেই ছিল পথ, যা তাঁরা অতিক্রম করেছেন জীবন হাতে নিয়ে।
ক্লিপটিতে রাফায়ের ও আলেকজান্ডারকে ২৬১ মিটার দীর্ঘ স্ল্যাকলাইন হাঁটার সময় তারা গ্যাস মাস্ক ব্যবহার করেছিলেন। আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুপ্যাত হচ্ছে- কিন্তু তার মধ্যেই দুইজনেই হাঁটা থামায়নি। তাঁরা হেঁটেই যাচ্ছে। মাধখানে একবার মাত্র ছন্দপতন হয়েছে। এক রেকর্ডধারী দঁড়ি থেকে পা পিছলে পড়েও গিয়েছিলেন। যদিও দুই আরোহীর শরীর দঁড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। তারপর সেখান থেকে উঠে তিনি আবারও হাঁটতে শুরু করেন।
গ্রিনেড ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকেই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। ক্লিপটি ২০ হাজারেরও বেশি লাইক পেয়েছে। আর ২ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই ভয়ঙ্কর অভিযানের জয়জয়াকার চলছে। সকলেই দুই ব্যক্তির সাহস আর আদম্য মনোভাবের তারিফ করেছেন। অনেকেই বলেছেন এরা দুটি পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্য- একটি আগ্নেয়গিরি পার করার জন্য আর অন্যটি আগুনের ওপর দিয়ে হেঁটে বেঁচে থাকার জন্য।