মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রধান আরও জানিয়েছেন, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের পরিকল্পনার কোনও প্রমাণ আজও আমেরিকার হাতে নেই। তাই তারা প্রমাণ দিতে পারছে না।
শিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে রীতিমত কাজ দিয়েছেন বলে আশা প্রকাশ করেছে সিআইএ প্রধান ইউলিয়াম বার্নস। কিনি বলেছেনস, ইউক্রেনের সঙ্গে পারমাণবিক স্যাব্রে-ব়্যাটলিং এর লিপ্ত হয়েছে রাশিয়া। অত্যান্ত বিপজ্জনক। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যার কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর। পারমাণবিক যুদ্ধ এবার হয়তো ইতি টানতে পারে রাশিয়া। তেমনও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রধান আরও জানিয়েছেন, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের পরিকল্পনার কোনও প্রমাণ আজও আমেরিকার হাতে নেই। তাই তারা প্রমাণ দিতে পারছে না। তবে পাকমাণবিক অস্ত্রের কী পরিণতি হতে পারে তা আমেরিকার কাছে খুবই স্পষ্ট- আমেরিকান পাবলিক ব্রডকাস্টার পাবলিক ব্রডকাস্টিং সার্ভিসকে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এজাতীয় মন্তব্য করেন তিনি।
সিআইএ প্রধান আরও বলেছেন, আমি মনে করি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। যার প্রভাব রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর পড়েছে। সেপ্টেম্বরে এসসিএ শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা বারবার তুলে ধরেন সিআইএ প্রধান। তিনি বলেন, জি-২০ বৈঠকের সময়ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী বার্তা রাশিয়ার চাপ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেও দানিয়েছেন। চিনের প্রেসিডেন্ট শিও ইউক্রেনের ওপর পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাশিয়াকে সতর্ক করেছিলেন। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও তিনি দাবি করেছেন।
শীতকালে ইউক্রেন রাশিয়ার মধ্যে আরও একপ্রস্থ আলোচনা হতে পারে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে চিন রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে তাঁর মন্তব্যে। তিনি বলেন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চিন ও রাশিয়া যথেষ্ট কাছাকাছি এসেছে। কিন্তু তাদের সম্পর্কের মধ্যেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের সময় চিনের থেকে ধারাবাহিক সাহায্য চাইলেও তা দেয়নি চিন। পাল্টা রাশিয়ার আর্জিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে চিনের এই ভূমিকাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ রাশিয়াকে সাহায্য করলে তাইওয়ান ইস্যুতে চিন পাল্টা সাহায্য চাইতেই পারত। কিন্তু সেই রাস্তা চিন নিজে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে। তাওয়ানকে চিন একটি বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে দেখে। চিনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এটিকে এক করতে রীতিমত গায়ের জোর দেখাচ্ছে চিন।
আরও পড়ুনঃ
মেঘালয়ে সংকটে কংগ্রেস, বিধানসভা ভোটের আগে দল দিশাহীন বলে পদত্যাগ প্রাক্তন মন্ত্রীর
পাকিস্তানের পুলিশ স্টেশনে তালিবান হামলা, ৯ পুলিশ কর্মীকে পণবন্দি করে দাবি জানাল জঙ্গিরা