ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনও সামরিক জোট নেই, মোদীর সফরের আগেই চিনের মুখের ওপর জবাব

Published : Jun 06, 2023, 04:55 PM IST
PM Modi UNGA, India in quad summit, America in quad summit, Japan in quad summit, Australia in quad summit, what is quad summit, purpose of quad summit, highlights of quad summit, Modi in quad summit, Joe Biden in quad summit, PM Modi Joe Biden meeting, Joe Biden, PM Modi US tour, PM Modi US visit, PM Modi latest news, White House PM Modi, Indians in America, PM Modi US visit Latest News

সংক্ষিপ্ত

ভারত মহাসাগরে চিন ক্রমশই শক্তি বৃদ্ধি করছে। যা নিয়ে চিনকে কটাক্ষ করে ভারতের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, 'আমরা যে সমস্ত প্রক্রিয়ার অংশ, তাতে সকলেই নিজেদেরকে সমান শক্তিশালী বা অংশগ্রহণকারী হিসেবে দেখি। 

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে দিয়েছে দুটি দেশই কোনও সামরিক জোটে নেই। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে আইআইএসএস শাংরি -লা ডায়লগ ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভারতের প্রতিনিধি ছিলেন উপ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিক্রম মিসরি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন ইন্দো- প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডার অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুইলিনো। অনুষ্ঠানে চিনের সামরিক প্রতিনিধির একটি প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রতিনিধি বলেছেন দুটি দেশ কোনও সামরিক জোটের অংশ নেয়। তবে ভারত মহাসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতে সম্পর্ক জোরদার রয়েছে বলেও তিনি জানান।

ভারতীয় আঞ্চলিক নিরাপত্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে ভারত কীভাবে দেখে চিনা প্রতিনিধিরএই প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় রয়েছে। প্রথমেই বলে রাখি যে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী ও মজবুত প্রতিরক্ষা ও সামরিক সম্পর্ক উপভোগ করে। আমরা প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে অনুশীলন একই সঙ্গে করি। সাধারণ উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলিতে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং মূল্যায়নের বিনিময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করি। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অংশীদার এবং আমি মনে করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তির উপসংহারে, যা এই ধরনের সম্পর্কের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, যা আপনি গোয়েন্দা যোগাযোগ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।'

'আপনি যেভাবেই তাদের চিহ্নিত করুন না কেন আমি মনে করি আমরা প্রত্যেকে সার্বভৌম দেশ, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অন্য সব দেশের মতো এই ধরনের চুক্তি করার অধিকারের মধ্যে আছি। এবং এই টেবিলের চারপাশে প্রতিনিধিত্ব করা প্রায় প্রতিটি দেশেরই এই ধরণের চুক্তি রয়েছে। ভারত যে সামরিক জোটের অংশ হতে চায় না বা এই বিষয়ে ভারতের আস্থা নেই তাও স্পষ্ট করে দেয় ভারতের প্রতিনিধি।

ভারত মহাসাগরে চিন ক্রমশই শক্তি বৃদ্ধি করছে। যা নিয়ে চিনকে কটাক্ষ করে ভারতের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, 'আমরা যে সমস্ত প্রক্রিয়ার অংশ, তাতে সকলেই নিজেদেরকে সমান শক্তিশালী বা অংশগ্রহণকারী হিসেবে দেখি।সেই সমতা হল এজাতীয় মেকানিজম ও ফোরামগুলি। সেখানেই এই একই নীতি কার্যকর।'

মিসরি বলেছেন 'ভারত প্যাসিফিক সম্পর্কে ভারতের ধারনা সম্পূর্ণ মুক্ত। তাই অন্তর্ভুক্তি অবশ্যই আমাদের চিন্তাভাবনার একটি অংশ এবং এই গঠনগুলির আমাদের সংজ্ঞা। কিন্তু যেহেতু আপনি অংশগ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে খোলামেলাতা এবং অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে কথা বলছেন, আমি আশা করি যে এই নীতিটি সমানভাবে এবং অন্য সকলের দ্বারাও সম্মান করা হবে যখন এটি আসে তখন বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চলে।'

অ্যাডমিরাল জন অ্যালক্যুইন জানিয়েছেন, বিশ্বের একাধিক দেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক রয়েছে। কোনওটা দ্বিপাক্ষিক, কোনওটা আবার বহুপাক্ষিক। তেমনই এটি একটি সম্পর্ক। কোনও জোট নয়। বিশেষ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি যা বিদ্যমান কিন্তু ভিত্তিগতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান থেকে যখন ভারতে আমাদের বন্ধু এবং অংশীদার এবং তাদের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল এবং তাদের আমাদের সম্পর্ক এবং আমাদের চুক্তির ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করা সহায়তার প্রয়োজন ছিল। তাই সেই সব সম্পর্ক, সেগুলি দ্বিপাক্ষিক হোক, জোট হোক, বহুপাক্ষিক চুক্তি হোক না কেন স্তরে স্তরে রয়েছে এবং তারা একে অপরের সংযোজন। এমন কেউ নেই যে অন্যকে ছাড়িয়ে যায়। আমরা আমাদের সম্পর্ককে গুরুত্ব সহকারে নিই এবং আমরা সবসময় আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করি।'

কোয়াড কোনও সামরিক সম্পর্ক নয়

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটাই স্পষ্ট করেছে কোয়াড জোট সামিরিক সম্পর্ক নয়। বরং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষযে সুসম্পর্ক বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুইলিনো বলেছেন 'কোয়াড একটি কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক। এটা সামরিক সম্পর্ক নয়।'তিনি বলেছেন, কোয়াড দেশগুলি একত্রিয় হয়ে সামরিক মহড়া দেয়। এটি নিজেদের মধ্যে শক্তি বাড়ানোর একটি প্রতিক্রিয়া মাত্র।

অন্যদিকে মিসরি মার্কিন অ্যাডমিরালের কথায় সায় দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য এটি যা করে তার পরিপ্রেক্ষিতে এটি খুব আকর্ষণীয় ও মূল্যবান উদ্যোগ। ইন্দো-প্যাসিফিক মেরিটাইম ডোমেন সচেতনতা বাড়াতে এটি গুরুত্বপূর্ণ। ভারত মহাসাগর এলাকার জনগণের হিত সাধানও কোয়াডের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পডুনঃ

১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, ১৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ কেন্দ্রকে

Defence News: চিন-পাকিস্তানের মোকাবিলায় GE প্রযুক্তির ব্যবহার, মোদীর মার্কিন সফরেই বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি হতে পারে

১১ মাসে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে, আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করছে হাসিনা সরকার

 

PREV
click me!

Recommended Stories

অভিভাসন ইস্যুতে বিতর্কে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্স, ভ্যান্সের স্ত্রী-সন্তানকে ভারতে পাঠাবে আমেরিকা?
এই ১৯টি দেশ আমেরিকার নিরাপত্তার বড় চ্যালেঞ্জ! অভিবাসন আবেদন স্থগিত ট্রাম্প প্রশাসনের