সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই বিয়েকে মান্যতা দিয়ে অনেক আগেই পাশ হয়েছিল বিল। কিন্তু এবার আইন প্রণয়ন করে সমানাধিকারের পথে একধাপ এগিয়ে দেওয়া হলো সমকামী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষেদের।
কিছুদিন আগে প্যান সেক্সচুয়ালিটি বলে একটি শব্দ খুব ঘোরা ফেরা করতো সকলের মুখে মুখে। বিষয়টি ঠিক কি ? বিষয়টি হলো একটা মানুষ ওপর একটি মানুষকে তার জাত , ধর্ম , লিঙ্গ দেখে ভালোবাসবে না। ভালোবাসবে তার ভিতরের মানুষটাকে দেখে। অর্থাৎ অন্তরাত্মাকে দেখে। এর অনেক গভীর তত্ব আছে। কিন্তু সেই তাতে না গিয়ে যে বিষয়টির দিকে আমরা আলোকপাত করবো সেটি হলো যে এই প্যান যৌনতা বিষয়টি বোঝার পর থেকেই মানুষ একটু একটু গ্রহণ করেছে সমকামীতা বিষয়টিকে। এরকম সম্পর্কের অস্তিত্বও যে থাকতে পারে সেটা আগে অনেকেরই ধ্যান ধারণার বাইরে ছিল কিন্তু এখন বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বেশ সহজ।
ভারতবর্ষে সমকামিতা বিষয়টিকে আইন করে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৮ সালে। মার্কিন মুলুকেও বারাক ওবামার হাত ধরে আইনি স্বীকৃতি পায় এই সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা। এবার সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই বিয়েকে মান্যতা দিয়ে অনেক আগেই পাশ হয়েছিল বিল। কিন্তু এবার আইন প্রণয়ন করে সমানাধিকারের পথে একধাপ এগিয়ে দেওয়া হলো সমকামী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষেদের। এপ্রসঙ্গে বাইডেন বলেন যে সীমিত কিছু মানুষের জন্য নয়, সকলের জন্য স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এই আইন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সমকামী বিবাহের বিলে সই করেন বাইডেন। এই ঐতিহাসিক মূহূর্তের সাক্ষী ছিলেন বিপুল সংখ্যক অতিথি। বাইডেন বলেন, “সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল আমেরিকা। সকলের জন্য ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করবে এই আইন।” প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেই মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, সমকামী বিবাহ কোনও অপরাধ নয়। তা সত্বেও এই বিয়ের আইনি মান্যতা ছিল না।এবার তা দিয়েই নজির গড়লো মার্কিন মুলুক।