রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী আগামী মাসে আমেরিকা সফর করতে পারেন। দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সফরের আসল উদ্দেশ্য কী?
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী মাসে আমেরিকা সফর করতে পারেন। হোয়াইট হাউসে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হবে। নরেন্দ্র মোদী এবং ট্রাম্পের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ট্রাম্প এই ফোনকলকে "সদর্থক" বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন যে তারা সুষ্ঠু ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের দিকে এগোনোর বিষয়ে কথা বলেছেন। ফ্লোরিডা থেকে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে ফিরে আসার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, “আমি আজ সকালে (সোমবার) তাঁর (নরেন্দ্র মোদী) সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি। তিনি আগামী মাসে, সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতে, হোয়াইট হাউসে আসবেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।”
আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে বাড়বে সহযোগিতা
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং তা আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা ইন্দো-প্যাসিফিক, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপ সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যুতেও আলোচনা করেছেন। রাষ্ট্রপতি ভারতের আমেরিকার থেকে অস্ত্র কেনার পরিমাণ বৃদ্ধি এবং ন্যায্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
ইন্দো-প্যাসিফিক কুইয়াড অংশীদারিত্ব বাড়ানোর উপর জোর
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হোয়াইট হাউস সফরের পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ট্রাম্প আমেরিকা-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কুইয়াড অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিয়েছেন। ভারত এই বছরের শেষের দিকে প্রথমবারের মতো কোয়াড নেতাদের আয়োজন করবে"।
আরও পড়ুন- ১৮,০০০ ভারতীয়কে বহিষ্কার করবে আমেরিকা? জয়শঙ্কর-ট্রাম্প সরকারের আলোচনা
উল্লেখ্য, ট্রাম্প এবং মোদীর মধ্যে ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম মেয়াদের সময় ট্রাম্পের শেষ বিদেশ সফর ছিল ভারতে। দুজনে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে হিউস্টনে এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আহমেদাবাদে দুটি পৃথক সমাবেশে হাজার হাজার মানুষকে সম্বোধন করেছিলেন।