Video Of Anaconda: তরতরিয়ে রাস্তা পার হয়ে গেল অ্যানাকোন্ডা, তাই দেখেই অবাক নেটিজেনরা

অ্যানাকোন্ডার রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য সত্যিই খুবই আকর্ষনীয়। প্রথমে সেটি আচমকাই রাস্তার ওপর চলে আসে

Asianet News Bangla | Published : Dec 8, 2021 6:34 PM IST


তাহলে সাপও (Snake) রাস্ত পার হয়। আর সাপের জন্য থেমে যায় একের পর  এক গাড়ি। শুধু কী তাই? রাস্তায় দিয়ে সাপের চলা দেখতে থমকে যায় মানুষজন। কিন্তু সাপ তার সর্পিল গতিতে বা চালে রাস্তা পার হয়ে চলে যায় নিজের গন্তব্য। ঠিক এমনই একটি ভিডিও নিয়ে তুমুল উত্তেজনা রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।  তবে সাপটি কিন্তু যেসে প্রজাতির নয়। একদম অ্যানাকোন্ডা (Anaconda)। 

অ্যানাকোন্ডার রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য সত্যিই খুবই আকর্ষনীয়। প্রথমে সেটি আচমকাই রাস্তার ওপর চলে আসে। আজগর দেখে থকমে যায় মানুষ। অনেকেই আতঙ্কে আবার অনেকে বিষ্ময়ে চিৎকার করতে শুরু করে। কিন্তু অ্যানাকোন্ডা বলে কথা। নিজের চালেই মত্ত থাকে। রাস্তা পার হয়ে ডিভাইডারে চড়ে। তারপর সেখান থেকে নেমে বাকি রাস্তাও পার হয়ে যায় নিজের খেয়ালে। 

যাই হোক কোথায় গেল অ্যানাকোন্ডাটি কোথায় গেল তা অবশ্য জানতে পারা যায়নি। তারই অবশ্য একটি কারণ রয়েছে। শুনলে অবাক হবে আপনিও। অ্যানাকোন্ডাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ ফুট। তাই উৎসহ থাকলেও দর্শকতাও সমঝে চলে দৈত্যাকার সেই অ্যানাকোন্ডাকে। তেমনই জানিয়েছেন অনেথকে। আপনিও দেখুন সেই বিশালাকার অ্যানাকোন্ডার রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য। 


ভিডিওটি কোথা থেকে শ্যুট করা হয়েছে তা অবশ্য এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কথাবার্তা ও পরিবেশ দেখে মনে করা হচ্ছে ভিডিওটি ব্রাজিলের। কারণ ব্রাজিলেও অ্যানাকোন্ডা দেখা যায়। তবে এর আগে কবে সেটি রাজপথে এসেছে তা বলা খুবই শক্ত। অ্যানাকোন্ডার মূল বাসস্থানই দক্ষিণ আফ্রিকায়, বিশেষত আমাজনের জঙ্গলে। এটি লম্বায় ২৩-২৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। তবে সবুজ অ্যানাকোন্ড মূলত বিষহীন একটি সাপ। অ্যানাকোন্ডা মূলত হরিণ, ক্যাপিবারা, টিপির খেয়ে বেঁচে থাকে। তবে অ্যানাকোন্ডা জাগুয়ার পর্যন্ত শিকার করতে পারে। তবে জন্ম থেকেই শিকারি এই সাপ। শাবক অ্যানাকোন্ডা পাখা মাছ, গিরগিটি, কচ্ছপ ধরতে পারে।  আকারের মত অ্যানাকোন্ডার ওজনও বেশি হয়। পূর্ণ বয়স্ক অ্যানাকোন্ডার ওজন প্রায় ২০০ কিলোগ্রাম হয়ে থাকে। অ্যানাকোন্ডা স্থলে থেকে বেঁচে থাকতে পারে জলেও এরা সাবলীল। এদের বিষ থাকে না। কিন্তু শিকার ধরে এরা সেটিকে পেঁচিয়ে ধরে। প্রবল চাপে শ্বাসরোধ হয়ে শিকারের মৃত্যু হয়। অ্যানাকোন্ডার আরও একটি বিশেষত্ব হল স্ত্রী সাপ পুরুষ সাপের তুলনায় আয়োতনে যেমন বেশি হয় দৈর্ঘ্যেই তেমন বড় হয়। 

Share this article
click me!