চিনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাইওয়ান কার্ড ইচ্ছা করেই খেলছে আমেরিকা, যা কখনই বরদাস্ত করা হবে না। আমেরিকার এই বিষয়ে নাক গলানো চিন যে মেনে নেবে না তা হুঁশিয়ারি দিয়ে ইতিমধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে।
তাইওয়ানে পা রাখতেই রীতিমত মারমুখী হয়ে উঠেছিল চিন। আমেরিকার দাদাগিরির মনোভাবকে সমালোচনা করতে ছাড়েনি উত্তর কোরিয়াও। তবে চিন তাইওয়ান সম্পর্কের উত্তপ্ত আবহাওয়াতে শান্তির বার্তাই দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তাঁর দাবি যুদ্ধ নয়, তাইওয়ান অঞ্চলে শান্তি ফিরুক, সেটাই চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে পেলোসির কথায় ভবি ভোলার নয়। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধের গর্জন সমানে চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং।
ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ক্রমশই বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চিনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ন্যান্সির এই তাইওয়ান সফর। তবে ন্যান্সি পেলোসি জানিয়েছেন তাঁর এই সফর কোনওভাবেই চিনের কাছে হুমকি হতে পারে। আমেরিকা গণতন্ত্রকে সমর্থন করে তা বোঝাতেই তাঁর তাইওয়ান সফর। অন্যদিকে ওয়াশিংটন জানিয়েছে ন্যান্সির এই সফর তাইওয়ান আর আমেরিকার বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করার একটি রাস্তা।
তবে চিনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাইওয়ান কার্ড ইচ্ছা করেই খেলছে আমেরিকা, যা কখনই বরদাস্ত করা হবে না। আমেরিকার এই বিষয়ে নাক গলানো চিন যে মেনে নেবে না তা হুঁশিয়ারি দিয়ে ইতিমধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে। বেজিংয়ের দাবি চিনকে উস্কাতেই পেলোসির এই তাইওয়ান সফর। কারণ মার্কিন হাউস স্পিকারের তাইওয়ানের মাটিতে পা রাখার অর্থ ওয়ান চিন নীতিতে জোর ধাক্কা দেওয়া। তাইওয়ান ইস্যু একেবারেই চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অবস্থান পরিষ্কার করেছে বেজিং। অন্য কোনও তৃতীয় দেশ সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলেও জানানো হয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে।
এদিকে, মার্কিন হাউস স্পিকারের তাইওয়ানের সফরের নিন্দা করেছে উত্তর কোরিয়াও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে এই ঘটনা আমেরিকার অযৌক্তিক হস্তক্ষেপের উদাহরণ। উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে এই ঘটনায় তাঁরা তাঁদের পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন চিনকে।
এদিকে, ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে চিন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার রাতে ন্যান্সি পেলোসি দক্ষিণ চিন সাগর এড়িয়ে তাইওয়ানে পা রাখেন। কিন্তু সেই সময় তাদের নিরাপত্তার জন্য ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হয় বিমান বন্দর। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই ২০টিরও বেশি চিনা যুদ্ধ বিমান তাওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। তাইপেয়ইয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন ন্যান্সি তাঁর তাইওয়ান সফর শুরু করেছেন। যা বেজিং নিজেদের অঞ্চল বলে মনে করে।