দেশ ছেড়ে পালানোর আগের রাতে মার্কিন বিদেশমন্ত্রীকে ঠিক কী বলেছিলেন আশরাফ ঘানি, এদিন তিনি ক্ষমা চেয়েছেন

আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর আগে আশরাফ ঘানি কথা বলেছিলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্র অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। 
 

১৫ আগাস্ট তালিবানরা কাবুল দখলের পর থেকে তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির আরও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।যদিও আফগানিস্তানে রাশিয়ার দূতাবাস থেকে বলা হয়েছিল প্রচুর প্রচুর টাকা আর ধনসম্পদ নিয়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি তালিবানারা। একটি সূত্র বলছে তাজিকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। অন্য একটি সূত্র বলছে তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে আরব আমিরশাহী। তবে এখনও পর্যন্ত ঘানির অবস্থান স্পষ্ট নয়। তবে আফগানিস্তানের সাংবাদ মাধ্যম টোলো নিউজ সামনে এনেছে এক অন্য কথা। টোলো নিউজ জানিয়েছে দেশ ছেড়ে পালানোর আগের রাতে আফরাফ ঘানি ঠিক কী  বলেছিলেন। 

আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর আগে আশরাফ ঘানি কথা বলেছিলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্র অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে। টোলো নিউজে অনলাইন সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তেমনই দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আশরাফ ঘানি সেই রাতে তাঁকে বলেছেন তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত রয়েছেন। টোলো নিউজের পক্ষ থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী আশরাফ ঘানিকে পালাতে সাহায্য করেছিল? তার উত্তরে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন পালানোর আগের রাতে ঘানি তাঁকে ফোন করেছিলেন। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। 

অন্যদিকে ঘানি একটি বিবৃতি দিয়ে আফগানিস্তানের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।তিনি বলেছেন তিনি প্রাসাদের নিরাপত্তার জন্য দায়বদ্ধ ছিলেন ছিলেন। তালিবানদের এই দখলদারি কাবুলকে ১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের সময় নিয়ে চলে গেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন কঠিন সেই সময় আফগানিস্তান ত্যাগ করা সিদ্ধান্ত তাঁর কাছে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।জীবনের চরমতম সিদ্ধান্ত এটি। তালিবানদের বন্দুককে শান্ত রাখা আর আফগানবাসীকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই তিনি কাবুল ছেড়েছেন। তবে প্রচুর ধনসম্পদ নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন তিনি পুরো বিষয়টি অন্যভাবে শেষ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি। 

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালিবান সরকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি তালিবান সরকারের ওপরেও নজর রাখছে। ব্লিংকেন ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করছেন। যাতে তালিবানরা যেসব প্রতিশ্রুতি পুরণ করে সেদিকেও জোর দিচ্ছেন। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury