সত্যিই বাতাসের মধ্য দিয়ে ছড়ায় করোনা, তাহলে কীভাবে ঠেকানো যাবে সংক্রমণ, কী বলছে 'হু'

করোনাভাইরাস কি বাতাসের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে

এতদিন এই নিয়ে চলছিল জোর জল্পনা চলেছে

অবশেষে বিষয়টি মেনে নিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

দিন কয়েক আগেই ২৩৯ জন বিজ্ঞানী এই নিয়ে হু-কে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন

amartya lahiri | Published : Jul 8, 2020 4:32 AM IST

করোনাভাইরাস কি বাতাসের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে? এতদিন এই নিয়ে অনেক জল্পনা চলেছে। দিন কয়েক আগেই ৩২ দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী বিষয়টি নিয়ে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। এতদিন অস্বীকার করে গেলেও মঙ্গলবার অবশেষে হু মেনে নিল, বাতাসের মধ্য দিয়েও ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। তারা বলেছে এই সংক্রান্ত 'প্রমাণের উত্থান' ঘটছে।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড -১৯ মহামারি মোকাবিলার প্রযুক্তিগত প্রধান, মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেছেন, কোভিড-১৯ বায়ুবাহিত হয়ে কিংবা অ্যারোসল বা জলকনা বাহিত হয়ে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা আলোচনা করা হচ্ছে। 'হু'-এর সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণ-এর প্রযুক্তিগত প্রধান বেনেডেট্টা অ্যালগ্রানজি বলেছেন, করোনাভাইরাসের বায়ুবাহিত সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে জনসমাগমের এলাকাগুলি সাজানো রয়েছে, তাতে বায়ুবাহিত সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। বিশেষ করে জনাকীর্ণ, আবদ্ধ জায়গা - যেখানে বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা খারাপ সেখানে বায়ুর মধ্য দিয়ে ভাইরাসটি সংক্রামিত হচ্ছে, তা অস্বীকার করা যায় না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আরও প্রমাণ সংগ্রহ এবং গবেষণার দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে গবেষণা অব্যাহত রয়েছে।
 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে বলেছিল, কোভিড-১৯ প্রাথমিকভাবে সংক্রামিত ব্যক্তির নাক এবং মুখ থেকে বহিষ্কৃত ছোট ছোট জলের ফোঁটার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং দ্রুত মাটিতে নেমে যায়। তবে দিন কয়েক সোমবার একটি মেডিকাল জার্নালে প্রকাশিত খোলা চিঠিতে ৩২টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী দাবি করেছিলেন ভাসমান জলকনাগুলি দীর্ঘক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকে। সেই বাতাসে কেউ শ্বাস নিলেই তার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তাই তারা 'হু'কে এই বিষয়ে তাদের নির্দেশিকা আপডেট করার জন্য অনুরোধ করছিলেন।

হু-এর এদিনের বক্তব্যের পর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রমণ পদ্ধতি এবং সংক্রমণ রোধ নিয়ে নির্দেশিকা বদল করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সম্ভবত শুধু শারীরিক দূরত্বই একমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা হবে না, নির্দিষ্ট কিছু অবস্থায় বিশেষ মাস্ক ব্যবহার করতে হতে পারে। বিশেষত যেসব জায়গগায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রের মতো যেখানে সংক্রমণের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি।

Share this article
click me!