ফের 'কোভ্যাক্স পরিষেবা'য় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালো হু, এতে কি ভারতের লাভ হবে

ফের কোভ্যাক্স পরিষেবায় যোগ দেওয়ার জন্য ডাক দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

গত এপ্রিল মাসে প্রথমবার এই পরিষেবা শুরু করা হয়েছিল

বিশ্বের সব দেশে করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিনের ন্যায্য সরবরাহ এর লক্ষ্য

এই পরিষেবায় যোগ দিলে ভারতের কি লাভ হবে

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের কোভ্যাএক্স পরিষেবায় যোগ দেওয়ার জন্য ফের আমন্ত্রণ জানালো। গত এপ্রিল মাসে প্রথমবার এই পরিষেবা শুরু করেছিল হু। বিশ্বের সব দেশ যাতে করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন ব্যবহারের ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত সুযোগ পায়, তার জন্যই এই পরিষেবা তৈরি করা হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক এই পরিষেবায় যোগ দিলে ভারতের কি আদৌ লাভ হবে?

কোভ্যাক্স পরিষেবা কী?

Latest Videos

একটি একটি আন্তর্জাতিক জোট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাভি এবং সিইপিআই সংস্থার সহযোগিতায় এই জোট তৈরি করেছে। বেশ কিছু দেশ এবং সাফল্যের সর্বাধিক সম্ভাবনা রয়েছে এমন বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক ও নির্মাতাদের সঙ্গে চুক্তি কর হয়েছে। এই সংস্থাগুলির তৈরি ভ্যাক্সিন চুক্তিবদ্ধ দেশগুলিতে ন্যায্যভাবে সরবরাহ করবে হু।

কারা কারা এই পরিষেবায় যোগ দিয়েছে?

মোট কতগুলি দেশ ইতিমধ্যেই এই পরিষেবার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তা এখনও জানায়নি হু। তবে গত ১৫ জুলাই হু-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছিল পঁচাত্তরটি দেশ ইতিমধ্যেই নব্বইটি গরীব দেশের সঙ্গে এই বিষয়ে অংশীদারি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই মোট ১৬৫টি দেশ মিলিয়ে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ হবে বলেও দাবি করা হয়েছে।

কেন এই পরিষেবার প্রয়োজন?

এই বছর বিশ্ব অর্থনীতি যে মন্দার মুখ দেখবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অবস্থায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, দরিদ্র্য দেশগুলিরই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ সবচেয়ে বেশি দরকার হলেও, ধনী দেশগুলিই তা দখল করবে। ফলে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলি কোভিড মহামারি প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্ত হতে পারলেও অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলিকে ভ্যাকসিনের অভাবে ভুগতে হবে। তাতে অর্থনৈতিক বিভাজন আরও বাড়ার সম্ভাবনা। এক দশক আগে এইডস মহামারির সময় ঠিক এমনটাই ঘটেছিল।

ভারতের কি লাভ হবে?

ভারতের নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ। সারা বিশ্বের মতো ভারতেও বহু মানুষ জীবন-জীবিকা হারিয়েছেন। অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারির ফলে। হু জানিয়েছে, কোভ্যাক্স পরিষেবার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলিতে, যাতে প্রতিটি দেশের জনসংখ্যার ২০ শতাংশের মধ্যে টিকাকরণ সম্ভব হয়, এমন পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকার ডোজ দেওয়া হবে। আরও ডোজ লাগলে আবেদনের ভিত্তিতে তাদের প্রয়োজন মূল্যায়ন করে সেই ডোজ দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেইসঙ্গে যত পরিমাণ ভ্যাকসিন হু গ্রহণ করবে তার প্রায় ১০ শতাংশ মানবিক ও জরুরি প্রয়োজনের জন্য রেখে দেওয়া হবে। কাজেই কোভ্যাক্স পরিষেবা ভারতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘জনগণের কষ্টের টাকায় মুখ্যমন্ত্রী উৎসব করবেন!’ মমতাকে ধুয়ে দিলেন সুকান্ত, দেখুন কী বললেন | Sukanta M
ট্যাবের টাকা মুহূর্তে হাওয়া! কাদের অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে , এবার গোসাবায় | Bengal Tab Scam | Gosaba
‘এবার সনাতনীদের এক হতে হবে’ হিন্দুদের উদ্দেশ্যে যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari
উত্তর ব্যারাকপুরে শোকের ছায়া! নিজের বাড়ির ছাদ থেকেই পাওয়া গেল নিথর দেহ | North 24 Parganas News
গোপন অভিযান চালিয়ে হতবাক পুলিশ! এ কী উদ্ধার হলো নদীয়া থেকে, দেখুন | Nadia News Today