ইসলামিক আইন মেনে কাজ করতে পারবে মহিলারা, ঘোষণা তালিবানদের

ক্ষমতায় আসার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করল তালিবানরা। প্রথম প্রেস বিবৃতিতেই তাঁরা জানিয়ে দিল, মহিলারা কাজ করতে পারবেন। 

Parna Sengupta | Published : Aug 18, 2021 2:34 AM IST

ক্ষমতায় আসার (Kabul seizure) পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করল তালিবানরা (Taliban)। প্রথম প্রেস বিবৃতিতেই (first official press briefing) তাঁরা জানিয়ে দিল, মহিলারা কাজ করতে পারবেন। মহিলাদের সম্মান ও স্বাধীনতা (women's rights) নিয়ে ছেলেখেলা করা হবে না। তবে তা সীমাবদ্ধ থাকবে ইসলামিক আইনের (Islamic law) মধ্যে। আইনের বাইরে গিয়ে কেউ কাজ করতে পারবেন না।  

কাবুলে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের ভিতরে বসে প্রেস কনফারেন্সে তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, নারীদের স্বাধীনতাকে সম্মান দেওয়া হবে। ইসলামিক আইনের গন্ডীর মধ্যে থেকে তাঁদের অধিকার সুরক্ষিত রাখা হবে। সমাজে মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বিভিন্ন কাজে মহিলাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। কিন্তু তা আইনের শাসন মেনে প্রতিফলিত করতে হবে। 

তালিবান মুখপাত্রের বক্তব্য তুলে ধরে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তারা অন্যান্য দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক কামনা করে এবং তারা কোনো "অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক শত্রু" চায় না। প্রেস বিবৃতিতে জাবিহুল্লাহ জানান, "আমরা কাবুলে আন্তর্জাতিক দূতাবাস ও সংস্থার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে চাই। আমাদের পরিকল্পনা ছিল বাকি এলাকা দখলের পর কাবুলের ঢোকার আগেই থেমে যাওয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আগের সরকার অযোগ্য ছিল। তারা নিরাপত্তা দিতে পারেনি। সব বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে নারীদের ভাগ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের মধ্যে, মঙ্গলবার আফগানিস্তানের জাতীয় সংবাদমাধ্যমে একজন তালিবান নেতা জানান, নারীরা পিছিয়ে থাকবে না। তারাও সরকারে যোগ দিক। এনামুল্লাহ সামঙ্গানি জানান, নারীদের ওপর যাতে অত্যাচার না হয়, তা দেখা হবে। তবে ইতিহাস অন্য কথা বলছে। ২০০২ সালের আগে পর্যন্ত যখন তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল রেখেছিল, তখন শিশুকন্যাদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। শরিয়া আইন চালু ছিল গোটা দেশ জুড়ে। ব্যভিচারীদের পাথর ছুঁড়ে মারা হত ও চোরেদের অঙ্গ কেটে ফেলা হত। 

আফগান নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিনও। তিনি টুইট করে বলেন ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যখন কঠোর শাসন ছিল তালিবানদের, তখনও মহিলাদের কাজ করা, টিভি দেখা ও গান শোনা নিষিদ্ধ ছিল। আবার কি সেই জমানা ফিরে আসতে চলেছে, প্রশ্ন করেন তসলিমা। কোনও মুসলিম রাষ্ট্রে মহিলাদের সঙ্গে মানুষের মতো ব্যবহার করা হয় না বলে দাবি লেখিকার। 
 
বিবিসি এর আগে রিপোর্ট করেছিল যে কাবুলের তরুণীরা সাহায্য চাইছে তালিবানদের থেকে বাঁচার জন্য। তালিবানরা এখন কাবুল দখল করেছে। ফলে তাঁদের অবস্থা শোচনীয় হতে চলেছে বলে মত তসলিমার। 

Share this article
click me!