বছরে ৩০ কোটি টাকা বেতন! কাজ শুধু সুইচ অন-অফ, কিন্তু তারপরেও জোটে না লোক! জানেন কেন?

এই চাকরিতে বছরে ৩০ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। তাও আবার প্রতিদিন শুধু সুইচ অন-অফ করাই কাজ। তবুও কেউ এই চাকরিতে যোগ দিতে রাজি নয়। কারণ জেনে নেওয়া যাক।

Parna Sengupta | Published : Sep 20, 2024 7:05 AM IST
110

আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের কোটিপতি হওয়া খুবই কঠিন। কারণ, এত পরিমাণে কারোর বেতন হয় না। 

210

বহুজাতিক কোম্পানিগুলিতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বাদ দিলে, বাকি সকলের বেতনই কম। কিন্তু একটি কাজ করলে এক বছরেই কোটিপতি হওয়া সম্ভব। 

310

এই কাজের জন্য লোকেদের কোটি কোটি টাকা বেতন দেওয়া হয়। বেতন বেশি বলে সারাদিন কাজ করতে হবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। 

410

এই চাকরিতে যারা যোগদান করবেন, তাদের দিনে মাত্র কয়েক মিনিট কাজ করলেই চলবে। তাও আবার কারোর নির্দেশ মেনে চলতে হবে না। 

510

এই কাজ করলে বছরে ৩০ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।একটি বাতিঘরে লাইট কীপারের কাজের জন্যই এত বেতন দেওয়া হয়। তবে এই কাজের জন্য সবসময় একা থাকতে হবে। 

610

মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার উপকূলে অবস্থিত একটি বাতিঘরে এই চাকরি। এটি ফারোস লাইটহাউস নামে পরিচিত। এটি বিশ্বের প্রথম বাতিঘর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।এই লাইটহাউসে কীপার হিসেবে কী কাজ করতে হবে, কেন এত বেশি বেতন দেওয়া হয়, তা জেনে নেওয়া যাক।

710

একটি বাতিঘর রক্ষণাবেক্ষণকারীর একমাত্র কাজ হল আলো জ্বলছে কিনা তা নিশ্চিত করা। দিন-রাত লাইটহাউসের আলো নিভে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখাই তার একমাত্র কাজ। বাকি সময় ঘুমানো, খাওয়া অথবা সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করে সময় কাটাতে পারেন।

810

এই কাজের জন্য বছরে ৩০ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হয়। তবুও অনেকেই এই কাজ করতে চান না।এই কাজটিকে বিশ্বের অন্যতম কঠিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, বাতিঘরের রক্ষককে সবসময় একা থাকতে হয়। সমুদ্রের মাঝখানে কথা বলার কেউ থাকে না। 

910

ফারোস লাইটহাউসটি অনেক বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল। এর নির্মাণে কাঠ, পাথর এবং লোহা ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক সময় সমুদ্রে খুব তীব্র ঝড় হয়। তখন পুরো বাতিঘর জলে তলিয়ে যেতে পারে। তখন লাইটহাউস কীপারের জীবনের ঝুঁকি থাকে। তাই কেউ স্বেচ্ছায় সেখানে কাজ করতে এগিয়ে আসে না।

1010

অতীতে রাতের বেলা আলোর অভাবে জাহাজগুলি প্রায়ই পাথর দেখতে পেত না এবং ধাক্কা খেত। ফলে অনেক জাহাজ সমুদ্রে ডুবে যেত। এই সমস্যার সমাধানের জন্যই বাতিঘর তৈরি করা হয়েছিল। বাতিঘরগুলি জাহাজগুলিকে জলে থাকা বড় বড় পাথর, অগভীর স্থান দেখে সাবধান করে এবং নিরাপদে চলাচলে সাহায্য করে। তাই বাতিঘরের আলো অনেক দূর থেকে দেখা যায় এবং খুব উজ্জ্বল হয়। জাহাজগুলিকে বিপদ এড়াতে এবং পথ দেখাতে এই আলো সবসময় জ্বলন্ত থাকে। প্রযুক্তির উন্নতিতে আজ জিপিএস ব্যবস্থা এসেছে, তবুও বাতিঘরের গুরুত্ব এখনও রয়েছে। জিপিএস সিগন্যাল না পাওয়া গেলে পথ দেখায় এই বাতিঘর।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos