আর ঠিক একদিন পরেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে ৪টি গ্রহাণু, জানেন ঠিক কী বিপদ হতে পারে আমাদের!
গ্রহ-নক্ষত্র ছাড়াও মহাবিশ্বে অনেক মৌল গতিশীল বস্তু রয়েছে, যার মধ্যে একটি হল গ্রহাণু। এই গ্রহাণুগুলি হল ধুলো এবং গ্যাসে মোড়ানো বড় উল্কাপিণ্ড, যেগুলির সাথে সংঘর্ষ হলে যে কোনও কিছুই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আমাদের সাধের পৃথিবীও তার ব্যতিক্রম নয়।
যে ভয়টা পাচ্ছেন, ঠিক সেটাই হতে চলেছে। তেসরা মার্চ অর্থাৎ আর একদিন পরেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে এরকমই চার চারটে গ্রহাণু। এই গ্রহাণুগুলি হল ধুলো এবং গ্যাসে মোড়ানো বড় উল্কাপিণ্ড, যেগুলির সাথে সংঘর্ষ হলে যে কোনও কিছুই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আমাদের সাধের পৃথিবীও তার ব্যতিক্রম নয়।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে ডাইনোসরের প্রজাতি লক্ষ লক্ষ বছর আগে ধ্বংস হয়েছিল যখন এমন একটি গ্রহাণু পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ হয়েছিল। নিশ্চয়ই ভাবছেন এসব বলার উদ্দেশ্য কী? এবার আসছি সেই কথায়।
জেনে রাখুন, এই সপ্তাহে চারটি গ্রহাণু আমাদের পৃথিবীর খুব কাছ থেকে চলে যাচ্ছে, যার মধ্যে দুটি খুব বড় আকারের। আসুন জেনে নিই এই চারটি গ্রহাণু সম্পর্কে।
আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসা জানিয়েছে, এই চারটি গ্রহাণু তেসরা মার্চ বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে। এর মধ্যে দুটির আয়তন ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রহাণুর নাম হল ২০০৭ইডি১২৫, যা ৭০০ ফুট গোলাকার।
এই গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৪ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে বের হবে। শুনলে এই দূরত্ব বেশি মনে হলেও বাস্তবে গ্রহাণুটি তার পথ সামান্য পরিবর্তন করলে এই দূরত্ব হঠাৎ করে লক্ষাধিক কিলোমিটার কমে যায়।
দ্বিতীয় বড় গ্রহাণুর নাম ২০২১কিউডব্লু এবং এর আয়তন প্রায় ২৫০ ফুট বলে অনুমান করা হয়। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৫৩ লাখ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। এই ক্ষেত্রেও ওই একই নিয়ম প্রযোজ্য। সামান্য গতিপথের পরিবর্তনেই ঘটে যেতে পারে বড় অঘটন।
৩ মার্চ পৃথিবীর কাছাকাছি থেকে বেরিয়ে আসা আরও দুটি গ্রহাণুর আকার খুব বড় নয়। এর মধ্যে ১৯০ ফুট চওড়া গ্রহাণুর নাম ২০১৭বিএম১২৩। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে ৪৬ লাখ কিলোমিটারের কাছাকাছি।
মাত্র তিন দিন আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো চতুর্থ গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়। এর নাম ২০২৩ডিএক্স। এর আকার খুব বড় নয়। তবে তাতে পৃথিবীর বিপদ খুব একটা কাটছে না।
যদিও বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে খুব কাছ থেকে পেরিয়ে গেলেও, এই গ্রহাণু এবং পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব অনেক বেশি হবে, তাই খুব বেশি চিন্তার কিছু নেই, তবে তাদের পথের সামান্য পরিবর্তনও পৃথিবীতে অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে।