মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা তালিবান সরকারের, ফতোয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

তালিবানের শাসনকালে মহিলাদের স্বাধীনতা প্রায় নেই বললেই চলে। চাকরি থেকে পোশাক সব কিছুতেই ফতোয়া জারি করেছে তালিবান সরকার। এবার মহিলাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Web Desk - ANB | Published : Dec 23, 2022 1:55 AM IST

তালিবানি শাসনের পুরোন স্মৃতি ফিরছে আফগানিস্তানে। মৌলবাদী শাসকদের আমলে খর্ব হচ্ছে মহিলাদের স্বাধীনতা। গত কয়েকমাস ধরেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছিল মহিলাদের উপর। মিডল স্কুল ও হাই স্কুলে যাওয়াও নিষেধ করে দিয়েছিলো তালিবানরা। মেয়েদের কাজ করার অধিকার ছাড়াও রাস্তায় একা চলাফেরা, বুরখা পরা নিয়েও কঠোর বিধিনিষেধ চালু করেছিল। এবার গত মঙ্গলবার মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপরও অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার। এই ফতোয়া ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তাল গোটা বিশ্ব। এমনকী মুসলমান অধ্যুসিত দেশগুলিতেও এই সিদ্ধান্তকে ইসলাম বিরোধী এমনকী মানবিকতার বিরুদ্ধ বলেও দাবি করা হয়েছে। এত কিছু সত্ত্বেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অন তালিবান সরকার। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের ব্যখ্যাও দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিম।

তালিবানের শাসনকালে মহিলাদের স্বাধীনতা প্রায় নেই বললেই চলে। চাকরি থেকে পোশাক সব কিছুতেই ফতোয়া জারি করেছে তালিবান সরকার। এবার মহিলাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে মহিলাদের ইসলামের নিয়ম অগ্রাহ্য করাকেই দায়ী করেছেন। মহিলাদের পোশাক থেকে একা রাস্তায় বেরোন পর্যন্ত সবকিছুই ইসলাম বিরোধী বলে মনে করছে মৌলবাদী সরকার। মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞার ব্যখ্যা দিয়ে তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিম জানিয়েছেন,'১৪ মাস কেটে গেলেও মহিলাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে ব নিয়মগুলি রয়েছে তা মানা হচ্ছে না।' সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন নাদিম। তিনি আরও বলেন,'মহিলারা এমন পোশাকে বিশ্ববিদ্যালয় আসেন দেখে মনে হয় যেন কোনও বিয়েবাড়িতে যাচ্ছেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা নিতে আসা মহিলারা বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার নিয়মও মানেন না।' নাদিম আরও জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ মহিলাদের শিক্ষার জন্য তৈরি মাদ্রাসাগুলিকেও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপর ফতোয়া জারির মাত্র তিনমাস আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় মহিলাদের বসার অনুমতি দিয়েছিল সরকার।

গত বছরের আগস্টে নতুন করে আফগানিস্তান দখল করার পর থেকেই নারী স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতার মতো বিষয়গুলি পুরোপুরি লোপ পেয়েছে আফগানিস্তানে । ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়কালেও মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অধিকার ছিল না আফগানিস্তানে। এছাড়াও পরকীয়া, চুরির মতো ঘটনায় প্রকাশ্যে বেত মারা এমনকী মেরে ফেলার ঘটনাও ছিল স্বাভাবিক। সেই বিষয়গুলিই নতুন করে কার্যকর হচ্ছে আবার তালিবান শাসনের জামানায়।

আরও পড়ুন - 

তালিবানরা মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার উপরে জারি করল নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে সরব আন্তর্জাতিকমহল

আচমকা আমেরিকা সফরে জেলেনস্কি, রুশ যুদ্ধবিমানের হামলা এড়াতে যাত্রাপথে কড়া নজরদারি নেটোর

রানি এলিজ়াবেথের বদলে রাজা চার্লসের ছবি ব্রিটিশ পাউন্ডে, রাজা চার্লসের তত্বাবধানে ব্রিটেনের নিয়মকানুনেও আসছে বদল

Share this article
click me!