প্রবল বিক্ষোভে পিছু হাঁটল চিনা সরকার, কঠোর শূন্য-কোভিড নীতিতে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত বেজিং-এর

প্রবল বিক্ষোভে সিদ্ধান্ত বদলের পথে চিনা সরকার। শিথিল করা হতে পারে শূন্য - কোভিড নীতি। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে শি সরকার।

 

Web Desk - ANB | Published : Nov 29, 2022 6:21 PM IST

রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং 'কঠোর শূন্য কোভিড নীতি' বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভে উত্তাল চিন। আর তাতেই পিছু হঠতে শুরু করেছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার। মঙ্গলবার চিন বলেছেন কঠোর করোনাভাইরাস লকডাউনের প্রভাবকে কমানোর পদক্ষেপ নিতে। অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘেই রীতিমত সমালোচিত হয়েছে বেজিং। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাষ্ট্রসংঘ-সহ বেশ কয়েকটি দেশ চিনা নাগরিকদের সমর্থনে সরব হয়েছে।

সাংহাই ও বেইজিং-সহ চিনের বেশ কয়েকটি শহরে গত কয়েকদিন শূন্য কোভিড নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। সেই বিক্ষোভ থেকেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। যদিও চিনের পুলিশ কড়া হাতে বিক্ষোভ দমন করেছে। কিন্তু তারই মধ্যে চিন সরকার জানিয়েছে দেশের কোভিড নীতি শিথিল করা হবে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানিয়েছেন চিন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শূন্য কোভিড নীতিতে সামঞ্জস্য রাখছে। তিনি আরও বলেছেন, দেশের মানুষের জীবন আর স্বাস্থ্যের জন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক সর্বাধিক সুরক্ষার উন্নতির ব্যবস্থা করবে চিনা প্রশাসন। চিন কার্যকরভাবে কোভিড নীতি নিয়ন্ত্রণে করবে। স্থিতিশীল অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করবে।

চীন একটি কঠোর শূন্য-কোভিড নীতি বজায় রাখে যার অধীনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গণ পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইন এবং স্ন্যাপ লকডাউন সহ এমনকি ছোট প্রাদুর্ভাবের উপর দমন করে। ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা স্বীকার করেছেন যে লোকেরা এক-আকার-ফিট-অল-এর পদ্ধতির অনুসরণ করে শূন্য-কোভিড নীতির "অতিউৎসাহী" বাস্তবায়নে ক্ষুব্ধ হয়েছিল।

জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা চেং ইউকুয়ান মঙ্গলবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছেন, 'জনসাধারণ যে সমস্যাগুলির কথা বলেছে সেগুলির মাধ্যমে মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বরং প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে সহজ করার দিকে মনোনিবেশ করতে হয়েছে।'বিক্ষোভের পরে কর্তৃপক্ষ শূন্য-কোভিড নীতি পুনর্বিবেচনা করবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে, জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং বলেছেন যে সমাজ এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব হ্রাস করার জন্য নীতির সূক্ষ্ম সুর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

কোভিড নীতির বুরুদ্ধে মূল শহরগুলিতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সাংহাইতে একটি ভবনে তালা বন্ধ অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরই চিনের পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। তাতেই বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের কথায় সরকারের কোভিড নীতির কড়াকড়ির জন্যই পুড়ে মারা গিয়েছে দেশের মানুষ। বিক্ষোভকারীরা চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর পদত্যাগের দাবিতেও সরব হয়েছে। পাশাপাশি কোভিড নীতি তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

Share this article
click me!