করোনা ঠেকাতে যে কড়া বিধিনিষেধ লাগু করেছিল চীন প্রশাসন । সোমবার থেকে তা শিথিল করার কথা ঘোষণা করল জিং পিং এর সরকার ।
গত তিন বছর ধরে পুরো স্তব্ধ চীনের স্বাভাবিক জীবনযাপন। করোনা ঠেকাতে যে কড়া বিধিনিষেধ লাগু করেছিল চীন প্রশাসন তার বিরুদ্ধেই প্রবল জনরোষ দেখা গেছে চিনে। চীনের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলনেও নেমেছে। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে প্রশাসনও জনগণের মতেই মত দিল। বেজিং-সহ চিনের অন্য বেশ কয়েকটি শহরের মত এবার শাংহাইয়েও কোভিডবিধি শিথিল করল চিন সরকার। সোমবার থেকে আর এই শহরে সরকারি যানবাহনে ওঠার জন্য করোনা পরীক্ষার সংশাপত্র লাগবে না। আবার সোমবার থেকেই শাংহাইয়ের সমস্ত মল, দোকান, বাজারও খুলে যাবে বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
একই নীতি প্রযোজ্য হবে শহরের সমস্ত পার্ক, খেলার মাঠ, মুক্ত মঞ্চের ক্ষেত্রেও। এইসব খোলা এলাকায় প্রবেশ করার জন্যও আর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে না বলে স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে চিনের একটি দৈনিক সংবাদপত্র।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই করোনা সংক্রমণ মাত্রা ছড়িয়েছিলো শাংহাইয়ে। যার ফলে করোনার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এসেছিলো স্থানীয় প্রশাসন। সেই নীতি বছর শেষে এসে শিথিল করল চিন। বেজিংসহ , চিনের দক্ষিণের গুয়াংঝাউ শহর, উত্তরের শিজ়াউয়াং, দক্ষিণ-পশ্চিমে চেঙদু সহ একাধিক শহরেই শিথিল করা হয়েছে এই বিধি। রবিবার বেজিং ও শেনজেন শহর থেকে করোনা পরীক্ষার কেন্দ্রগুলি কমিয়ে ফেলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। ক্রেন দিয়ে অস্থায়ী পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি সরাতেই আনন্দে মেতে উঠলেন শহরের বাসিন্দাদের।