তুরস্কর আর সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এরদোগনের কথায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার মানুষের। উদ্ধারকাজে বাধা বৃষ্টি।
সময় যত যাচ্ছে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ততই প্রকট হচ্ছে তুরস্ক আর সিরিয়ায়। প্রাকৃতিক বিপর্যেয়ের চার দিন পরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোগন জানিয়েছেন দুটি দেশে ভূমকম্পে কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি তিনি নিজের সরকারের প্রক্রিয়া যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট নয় তাও স্বীকার করে নিয়েছে। তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে এখনও প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছে। কিন্তু উদ্ধার আর ত্রাণকার্যে বাধা দিচ্ছে আবাহাওয়া। প্রবল ঠান্ডা আর তার সঙ্গে বৃষ্টির কারণে সমস্যায় পড়েছে উদ্ধারকারীরা।
ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের খারাব আর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের এখনও কোনও মানুষ আটকে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের অনুমান ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা আটকে রয়েছে তাদের বাঁচানোর সময় খুবই কম। কারণ কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর কেটে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময়। যারা আটকে রয়েছে এই সময়টা তাদের কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। বুধবারও উদ্ধারকারী দল তুরস্কের হাতাই প্রেদেশের একটি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বেশি কয়েকজন শিশুকে বার করা হয়েছে। সরান হয়েছে ধ্বংসস্তূপ। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে আচমকা শিশুদের কান্নার শব্দ শুনেই তারা সেখানে সন্ধান চালায়। তারপরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছিল। দুই দেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, সোমবার তুরস্কের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। তাতে তুরস্কে এখনও পর্যন্ত ১২,৩৯১ জন ও সিরিয়ার ২,৯৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই দেশে মোট মৃতের সংখ্য ১৫ হাজার ৮৩৮ জন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন মাার্কিনম যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইজরায়েল-সহ বিশ্বের ১৪টি আন্তর্জাতিক সংস্থা তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তুরস্কের পাশে রয়েছে ভারত। আপারেশন দোস্ত নামে প্রকল্পের মাধ্যমে তুরস্ক ও সিরিয়ার জন্য যাবতীয় সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কাজস্থানের মত দেশই তুরস্কে উদ্ধারকাজের জন্য সহযোগিতা করছে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তুরস্কের মাধ্যমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার ত্রাণ পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরেই উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার লক্ষাধিক মানুষের কাছে ত্রাণ ও সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হবে বলাও জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের কর্মকর্তারা। রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, কয়েক বছর ধরে তুরস্কের একটি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে সিয়ারার বিদ্রোহী এলাকার নির্যাতিত মানুষরা দেশ ছাড়ছিলেন। তারা তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস করছিলেন। এই মানুষের সংখ্যাটা প্রায় ৪ মিলিয়ন। এই এলাকায় সহযোহগিতাক পাঠানোর কাজে বিশেষ জোর দিচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ।
আরও পড়ুনঃ
Weather Update: মাঘে কলকাতায় দক্ষিণা হাওয়ার দাপটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ
বাজেটের এক সপ্তাহ পরে কলকাতায় কী হল পেট্রোল আর ডিজেলের দাম? রইল চার মেট্রোসিটির তালিকা
বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার উৎখাত করবে তৃণমূল, ত্রিপুরার জনসভায় দাবি মমতার