বড়সড় রাসায়নিক হামলার পরিকল্পনা, জার্মানি থেকে গ্রেফতার ইরানি নাগরিক

Published : Jan 08, 2023, 07:39 PM IST
germany, berlin, crime news, shocking news, trending news, viral news, shocking trending news, ajab gajab, weird news

সংক্ষিপ্ত

জার্মান পুলিশ তাদের বিবৃতিতে বলেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি ইসলামিক মৌলবাদের প্রভাবে একটি বড় রাসায়নিক হামলার পরিকল্পনা করছিল। এ জন্য অভিযুক্ত বিষাক্ত রাসায়নিক সায়ানাইড ও রিসিন সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জার্মানির পুলিশ ইরানি বংশোদ্ভূত এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি বড় ধরনের রাসায়নিক হামলার পরিকল্পনা করছিল। জার্মানির ডর্টমুন্ডের ক্যাস্ট্রপ রাউক্সেল শহরে এই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন ইরানি নাগরিকের পাশাপাশি আরেকজনকে আটক করেছে পুলিশ। রাসায়নিক হামলার পরিকল্পনার সন্দেহে ওই ইরানি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে জার্মানি। নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৩২ বছরের ওই ইরানি ব্যক্তি সায়ানাইড ও রিসিন ব্যবহার করে ‘গুরুতর হামলার’ পরিকল্পনা করছিলেন।

জার্মান পুলিশ তাদের বিবৃতিতে বলেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি ইসলামিক মৌলবাদের প্রভাবে একটি বড় রাসায়নিক হামলার পরিকল্পনা করছিল। এ জন্য অভিযুক্ত বিষাক্ত রাসায়নিক সায়ানাইড ও রিসিন সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্যাস্টর-অয়েল গাছের বীজের নির্যাস থেকে তৈরি মারাত্মক বিষাক্ত রিসিন একটি বিষাক্ত জৈবিক অস্ত্র হিসেবে পরিচিত। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাসায়নিক হামলা যাতে তাদের ওপর প্রভাব না ফেলে, সেজন্য অভিযুক্তদের কাছ থেকে একটি বিশেষ স্যুটও উদ্ধার করা হয়েছে।

জার্মান পুলিশ অভিযুক্ত সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল, তার ভিত্তিতেই তল্লাশি চালায় তারা। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জার্মানির সংবাদ সংস্থা ডিপিএ জানায়, সুরক্ষা পোশাক পরে বেশ কয়েকজন জরুরি সেবা কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষাক্ত ওই পদার্থগুলো উদ্ধার করেন। উল্লেখ্য, প্রায় ৫ বছর আগেও জার্মান পুলিশ রাসায়নিক হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে টিউটনিয়া বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল। উভয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর উভয়কে ১০ ও ৮ বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।

আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে ইরানে হিজাবের বিরুদ্ধে বড় আকারের বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। একই সঙ্গে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে সরকারের নিশানায় ইরান সরকার। অতীতে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজও ইরান সরকারের কঠোর নিন্দা করেছিলেন এবং ইরানের জনগণের প্রতি তার সমর্থন বাড়িয়েছিলেন।

ওলাফ শোলজ ইরানে হিংসা ছড়ানোর জন্য ইরান সরকারকে দায়ী করেছেন। শোলজ ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও হুমকি দিয়েছেন। হিজাব ‘ঠিক করে’ না পরায় ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানবাসী কুর্দিশ তরুণী মাহসা আমিনিকে গ্রেফতার করেছিল ইরানের নীতি-পুলিশ। গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ সুস্থ। কিন্তু, পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তিনি মারা যান। এই ঘটনার পরেই ইরান জুড়ে শুরু হয় হিজাব-বিরোধী আন্দোলন।

মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষেরাও মিছিলে পা মেলান। ইরান সরকার গোড়া থেকেই কড়া হাতে আন্দোলন দমন করছে। তারই পদক্ষেপ হিসেবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল মহসেনকে। সেটাই ছিল দেশে হিজাব-আন্দোলন দমন করার জন্য প্রথম ফাঁসি। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি ইসলামি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে জার্মানি। ২০১৬ সালে বার্লিনে ক্রিসমাস মার্কেটে একটি ট্রাক হামলায় ১২ জন নিহত হন।

PREV
click me!

Recommended Stories

বিস্ফোরক বা মাদক আছে বলে সন্দেহ, লন্ডনে মহসিন নকভির গাড়ি তল্লাশি পুলিশের
LIVE NEWS UPDATE: 'ক্রিকেটের চেয়ে অন্য কোনও কিছুকে বেশি ভালোবাসি না,' বার্তা স্মৃতি মন্ধানার