রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ২০২২ সালের প্রথম আট মাসে ভারতে রাশিয়ান তেল আমদানি বেড়ে ১৬.৩৫ মিলিয়ন টন হয়েছে। উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
রাশিয়া জি-৭ দেশ এবং তাদের মিত্রদের রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা আরোপের জন্য সমর্থন না করার ভারতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক রাশিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পবন কাপুরের সঙ্গে বৈঠকের সময় এই বিবৃতি দিয়েছেন। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে যে উপ-প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ান তেলের মূল্যসীমা আরোপকে সমর্থন না করার ভারতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, যা পাঁচই ডিসেম্বর জি-৭ দেশ এবং তাদের মিত্রদেশগুলি ঘোষণা করেছিল। এর আগে সেপ্টেম্বরে জি-৭ দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ওপর মূল্যসীমা আরোপ করতে সম্মত হয়েছিল।
বিবৃতি অনুসারে, নোভাক বলেছেন যে জ্বালানি সংকটের মধ্যে পূর্ব-দক্ষিণ দেশগুলিতে শক্তি সংস্থান সরবরাহ এবং শক্তি রপ্তানির জন্য রাশিয়া তার দায়বদ্ধতার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ২০২২ সালের প্রথম আট মাসে ভারতে রাশিয়ান তেল আমদানি বেড়ে ১৬.৩৫ মিলিয়ন টন হয়েছে। উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
ভারতে তেল সরবরাহে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া
জেনে রাখা ভালো যে এই বছরের গ্রীষ্মে, রাশিয়া ভারতে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এছাড়া রাশিয়া থেকে তেল পণ্য ও কয়লার সরবরাহও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পবন কাপুরের সাথে সাক্ষাতের সময়, নোভাক পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে আন্তর্জাতিক ফোরাম 'রাশিয়ান এনার্জি উইক ২০২৩'-এ অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এটি আগামী বছরের ১১-১৩ অক্টোবর মস্কোতে অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য দিন কয়েক আগেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা নিয়ে মার্কিন সাংবাদিকের প্রশ্নের যোগ্য জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার এই ইস্যুতে কোনো ধরনের চাপের মধ্যে নেই বলে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, উপভোক্তাদের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের কাছে পেট্রোল, ডিজেল সরবরাহ সঠিক ভাবে করা। সেই কাজ দায়িত্বের সঙ্গে করে চলেছে মোদী সরকার। এই নিয়ে বাইরের দেশের ভাবনার দরকার নেই।
আমেরিকান সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডারসন দাবি করছিলেন যে ভারত ছাড়ের দামে তেল কিনে সুবিধা নিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি তেল কেনা অব্যাহত রাখার বিষয়েও প্রশ্ন করেন। উত্তরে পুরী বলেন, 'আমি প্রথমে আপনার অনুমান সংশোধন করার চেষ্টা করব। আমাদের অর্থবছর ৩১ মার্চ, ২০২২-এ শেষ হয়েছিল এবং রাশিয়ান তেল কেনা হয়েছিল ০.২ শতাংশে। দুই শতাংশে নয়। ইউরোপ যা পরিমাণ তেল কিনছে তার এক চতুর্থাংশই আমরা কিনি।' একইসঙ্গে তিনি সাংবাদিককে এও বলেন যে গত মাসে ইরাক ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী, রাশিয়া নয়।